Naya Diganta

রাশিয়ায় ড্রোন হামলায় তেল পাইপলাইন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত

রাশিয়ার পসকভ অঞ্চলে অজ্ঞাত ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছে : ইন্টারনেট

বেলারুশের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার পসকভ অঞ্চলে দু’টি ড্রোনের হামলায় একটি তেল পাইপলাইনের প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় গভর্নর মিখাইল ভেদেরনিকভ শনিবার টেলিগ্রামে এ কথা বলেছেন। ভেদেরনিকভ ইউক্রেনের দিকে আঙুল তোলেননি, তবে মস্কো এর আগে একই ধরনের ঘটনার জন্য কিয়েভকে দায়ী করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় ইউক্রেনের সাথে দেশটির সীমান্ত থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে মানুষ ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে।
ভেদেরনিকভ বলেছেন, ‘অস্থায়ীভাবে দু’টি মনুষ্যবিহীন বায়বীয় যানের আক্রমণের ফলে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেদেরনিকভ আরো জানান, এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একটি অপারেশনাল গ্রুপ ঘটনাস্থলে কাজ করছে, যারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছবে। বেলারুশের সাথে রাশিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার কম দূরত্বে লিটভিনোভো গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ইউক্রেন প্রকাশ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
তবে কিয়েভের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঝে মাঝে রাশিয়ার মাটিতে সফল ড্রোন হামলার খবরকে স্বাগত জানান।
তবে নতুন এই হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাল্টা-আক্রমণ শুরু করতে প্রস্তুত
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে কিইভ প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি দানিলভ। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে শিগগিরই বড়সড় এ আক্রমণ শুরু করার কথা জানালেও কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি। দানিলভ বলেছেন, ‘এটা কাল, পরশু বা সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শুরু হতে পারে।’
সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এই পাল্টা-আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউক্রেন সরকারের ভুল করার কোনো অধিকার নেই কারণ এটি একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ যা আমরা হারাতে পারি না।’ ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি হিসেবে দানিলভ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধ মন্ত্রিসভার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। বিবিসিকে দেয়া তার বিরল সাক্ষাৎকার মাঝপথে একবার বিঘিতও হয়, সেসময় তার ফোনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একটি বার্তা আসে, যাতে তাকে পাল্টা-আক্রমণ নিয়ে আলোচনার একটি বৈঠকে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে দানিলভ বাখমুত শহর থেকে ওয়াগনারের কিছু যোদ্ধাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন। বলেন, রুশ ওই ভাড়াটে বাহিনীকে অন্য তিনটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ‘ওই সেনা প্রত্যাহারের মানে এই নয় যে তারা আমাদের সাথে যুদ্ধ থামাচ্ছে,’ বলেছেন তিনি। বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন শুরু নিয়ে ‘অস্থির হচ্ছেন না’ জানিয়ে দানিলভ বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য কোনো খবরই নয়।’