Naya Diganta

কারো সার্চ ইঞ্জিনে যাওয়ার দরকার হবে না : বিল গেটস

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ‘আই ফরওয়ার্ড ২০২৩’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতে এমন একটি ব্যক্তিগত সহকারী (ডিজিটাল এজেন্ট) তৈরি করবে, যা মানুষের জন্য কাজ করতে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে হলে কৃত্রিমভাবে বুদ্ধিমান এজেন্টের বিকাশ ঘটাতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে ভবিষ্যতে সার্চ ইঞ্জিন, উৎপাদনশীলতা ও অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আগামীতে এগুলো চলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলে। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের সহযোগিতা করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত ব্যক্তিগত সহকারী তৈরিতে কাজ করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত বুদ্ধিমান সহকারী তৈরির দৌড়ে কে এগিয়ে যাবে, সেটাই বড় কথা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ও অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ব্যবসাগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে তা ব্যাখ্যা করে বিল গেটস বলেন, আগামীতে আর কখনো কোনো অনুসন্ধান (সার্চ) সাইটে যাবেন না। আপনি কখনো অ্যামাজনে পণ্য খুঁজতে যাবেন না। এ খাতে যে প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে, তারাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে লাভজনক দিকে নিয়ে যাবে।
৮০ ও ৯০-এর দশকে পার্সোনাল কম্পিউটারে বিপ্লব আনা গেটস বলেন, মাইক্রোসফট যদি এই প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে না থাকতে পারে তাহলে আমি হতাশ হব। তবে ইনফ্ল্যাকশনের মতো কিছু নতুন সার্ট-আপের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ। সবাই ব্যবহার করতে পারবে এমন একটি কার্যকর ডিজিটাল সহকারী বাজারে আসতে অনেকটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। আর এই সময় পর্যন্ত কোম্পানিগুলো তাদের সেবায় চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি যোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।