Naya Diganta

মালয়েশিয়ায় বেওয়ারিশ দাফন হলো বাংলাদেশীর লাশ

মালয়েশিয়ায় বেওয়ারিশ দাফন হলো বাংলাদেশীর লাশ

মালয়েশিয়ায় বেওয়ারিশ দাফন হয়েছে শাওন (৩০) নামের এক বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ।

গত ১৫ এপ্রিল তার লাশ দাফন করা হয়। এর দুই মাস আগে তিনি একটি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে আহত হয়েছিলেন। তার লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ওয়েলফেয়ারবিষয়ক কর্মী সুকুমান।

নিহত শাওন কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর হাট চান্দিনা এলাকার মো: আবু তাহের মিয়ার ছেলে। তিনি মালয়েশিয়া বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাসাস ও নবীন দলের সক্রিয় নেতা ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট স্থানীয় চীনা নাগরিকের চারতলা আবাসিক ভবনে বিদ্যুৎয়ের কাজ করতে গিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন শাওন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ টিম তাকে উদ্ধার করে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে এ বছর ৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রায় দুই মাস হসপিটালের মর্গে পড়ে থাকার পর গত ১৫ এপ্রিল বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ কমিউনিটি থেকে জানানো হয়, শাওনের লাশ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দায়িত্ব নেন মালয়েশিয়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসাসের আহ্বায়ক শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম। কিন্তু মাসুমকে একাধিকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা যায়নি। পরে জানা যায়, তিনি ছুটিতে দেশে গেছেন।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে কমিউনিটির এক সিনিয়র নেতা বলেন, পাসপোর্ট ও ভ্যালিড ভিসা থাকার পরও শাওনকে মালয়েশিয়ায় বেওয়ারিশ দাফন করা খুবই দুঃখজনক। এটা বাংলাদেশী সবার জন্যই লজ্জাজনক।

তিনি আরো বলেন, ‘সে কোন দল করতো, এটা বড় কথা না। শাওন একজন বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসাধারী বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধা, এটাই তার বড় পরিচয়।

দূতাবাস ও পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ কিভাবে দাফন করল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিব মো: জাহিদুর রহমান বলেন, আমাদেরকে গতকাল এক সাংবাদিক বিষয়টি জানান। তখন খবর নিয়ে জানতে পারি, এক মাস আগেই ইসলামিক সেন্টারে তার লাশ দাফন হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, শাওনের ব্যাপারে আমাদের কাছে এত দিন কোনো তথ্য ছিল না।

তবে দূতাবাস ও পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ কিভাবে দাফন করতে পারে, এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।