Naya Diganta

দিরাইয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০

দিরাইয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পল্লীতে জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে লাইসেন্সধারী বন্দুকের গুলিতে ইউপি সদস্য মামুন মিয়াসহ প্রতিপক্ষের ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অপর আহতরা হলেন বায়জিদ মিয়া, আতিকুল্লাহ, হেলিম মিয়া, জাকির হুসেন ও ওমর ফারুক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে উপজেলার রফিনগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে হেলাল মিয়া ও শওকত আলীর ছেলে আহাম্মদ মিয়ার লোকজনের মাঝে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষটি হয়। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

লাইসেন্সধারী বন্দুকের গুলিতে আহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, রফিনগর গ্রামের দুই গ্রুপের মাঝে জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজন দিরাই ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দিরাই থানার ওসি আরো জানান, সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আমি নিজে এলাকায় অবস্থান করছি। উভয় পক্ষের আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষের সংবাদ লেখা পর্যন্ত রফিনগর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে এই বিষয়ে এলাকাবাসী দুই গ্রুপের লোকদের নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে হঠাৎ শওকত আলীর লোকজন ছুরি নিয়ে হেলালের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ও ছুরিকাঘাতের এ সময় পাঁচজন লোক আহত হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে দিরাই থানার এসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া প্রতিপক্ষের ২১ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় একটি মামলা করেন।