Naya Diganta

চুয়াডাঙ্গায় টানা ৫ম দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি

চুয়াডাঙ্গায় টানা ৫ম দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি।

চুয়াডাঙ্গায় অনেক দিন ধরেই চলছে তাপদাহ। মাঝে হালকা ঝড়-ঝাপটা দেখা মিললেও মাসখানেক ধরে প্রকৃতি পুড়েছে গ্রীষ্মের তাপে। পঞ্চম দিনের মতো আজও (বুধবার) চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তহমিনা নাসরিন বলেন, এমন পরিস্থিতি আরো কয়েক দিন থাকবে। যদিও দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এ অঞ্চলে দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিলে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসেও তাপমাত্রা বেড়েছে।

সাগরের লঘুচাপের কারণেই তাপমাত্রা বেড়েছে বলে তিনি জানান।

তাপদাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে গরমজনিত কারণে আড়াই শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশুরা গরমের কারণে ডায়রিয়া ও টায়ফায়াডসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। শয্যার তুলনায় অনেক বেশি রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে সেবা দিতে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি ও ফলমুল খেতে বলা হচ্ছে। তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব ঠান্ডাস্থানে থাকতে হবে। হাসপাতালে শিশু রোগীসহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাপমাত্রা কমে এলে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।