Naya Diganta

কুলিয়ারচরে স্মার্টফোনে স্মার্ট নকল

কুলিয়ারচরে স্মার্টফোনে স্মার্ট নকল।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কেন্দ্রের বাইরে পাঠানো এবং উত্তর সংগ্রহ করে নকল করার অভিযোগে মো: ইউসুফ (১৭) নামে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন কেন্দ্র সচিব। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে মো: ইউসুফ, ওই মোবাইল ফোনে মালিক ইউসুফের পাশের সিটের পরীক্ষার্থী আশরাফুল (১৭) ও উত্তর লিখে পাঠিয়ে সহায়তা করা শিক্ষক মো: বাছির মিয়ার (২৮) বিরুদ্ধে। দুই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তবে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ওই শিক্ষক।

বুধবার (১০ মে) দুপুর ২টার দিকে গ্রেফতার দুই পরীক্ষার্থীকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার কুলিয়ারচর উপজেলার মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নকল করার ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার মো: ইউসুফ উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ধুপাখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং আশরাফুল একই গ্রামের মো: মিলন মিয়ার ছেলে। তারা দু’জনই ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্র। পলাতল শিক্ষক মো: বাছির মিয়া ছোট ছয়সূতী এলাকার জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যায়লয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তিনি ধুপাখালী গ্রামের মো: মুর্শিদ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার এসএসসির গণিত পরিক্ষা চলছিল। এ সময় কুলিয়ারচর উপজেলার ২ নম্বর কেন্দ্র মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কক্ষে পরীক্ষার্থী মো: ইউসুফ স্মার্টফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে থাকা শিক্ষক মো: বাছির মিয়ার কাছে পাঠান। পরে বাছির মিয়া প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে ইউসুফের মেসেঞ্জারে পাঠান। এ সময় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার ওই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরেন এবং কেন্দ্র সচিবের কাছে হস্তান্তর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পরীক্ষার হলে স্মাটফোনসহ অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো: ইউসুফ হাতানাতে ধরা পড়েন। কেন্দ্র সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে এ ঘটনায় জড়িত দুই পরীক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

কেন্দ্র সচিব ও মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নাসের মো: আব্দুল্লাহ বলেন, পরীক্ষা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাতেনাতে স্মার্টফোনসহ ধরা পড়ায় পরীক্ষার্থী মো: ইউসুফকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্মাটফোনের প্রকৃত মালিক পরীক্ষার্থী আশরাফুল ও কেন্দ্রের বাইরে থেকে সহায়তা করা শিক্ষক বাছির মিয়া এবং বহিষ্কৃত পরিক্ষার্থী মো: ইউসুফের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ওই দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। তাদেরকে বুধবার দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ আদালতের প্রেরণ করা হয়।