Naya Diganta
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের তথ্য

বছরে পাচার হচ্ছে ৭০০ কোটি ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের তথ্য
বছরে পাচার ৭০০ কোটি ডলার।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো: ফরাস উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কারো কোনো কথা নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণ খেলাপিদের আরো সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এটা জাতির পিতার সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থী।

মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বইটি সম্পাদনা ও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিল পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

ড. মো: ফরাশউদ্দিন বলেন, ‘ঋণখেলাপীদের জন্য সমস্ত সুযোগ, যা জাতির পিতার সমতাভিত্তিক উন্নয়নের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, ‘এই যে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আট শতাংশ, যা নেপালের অর্ধেক। এটা কি ভালো হচ্ছে? এই যে বেসরকারি খাতে ঋণ ও পাবলিক-প্রাইভেট ইনভেষ্টমন্টে ৮০ শতাংশ এটা কেতাব-কলমের কথা। বাংলাদেশে এটা চলছে না। কেনাকাটায় সম্পূর্ণ নৈরাজ্য। কোন দেশে এক কিলোমিটার রাস্তা করতে ২০ কোটি টাকা লাগে? আমাদের দেশে অনেক বেশিই লাগে। তবে এটাকে পরিকল্পনা কমিশন ধরেছে এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো কারণেই হোক, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে আসছে না। যেখানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ অনেকেই বলছেন, আড়াই কোটি মানুষের কাছে মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার ডলার, মানে ছয় লাখ টাকা। তাহলে ৩০ লাখ লোক কেন কর দেবে? বাকিদের কাছ থেকে আমি কেন কর আদায় করতে পারব না? কাউকে কষ্ট দিয়ে কর যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে কি বিনিয়োগ জিডিপি ৪০ শতাংশে যাবে? ৪০ শতাংশে না গেলে আমি কি দ্বিগুণ জিডিপি করতে পারব?’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল বায়েস, পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদী সাত্তার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চোরম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়েক সেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনজুর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক সচিব মো: খুরশেদ আলম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।