Naya Diganta

‘আরব বলয়ে’ ফিরে আসছে সিরিয়া

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাথে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি

তাদের দু’জনকে দেখলে ঠিক স্বাভাবিক মিত্র বলে মনে হয় না। কিন্তু বুধবার দামেস্কে এ দৃশ্যই দেখা গেল।

স্যুট-পরা, ধর্মনিরপেক্ষ সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন দাড়িওয়ালা, পাগড়ি-পরা ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে।

২০১৯ সালের ‘আরব বসন্ত’ অভ্যুত্থানের পর সিরিয়ায় কোনো ইরানি নেতার এটাই প্রথম সফর।

এর পরবর্তীকালে সিরিয়ায় যখন রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ চলছে, তখন বাশার আসাদের সরকারকে রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল ইরানই, সাথে ছিল রাশিয়া।

এমন এক সময় সিরিয়ায় ইরানি প্রেসিডেন্টের সফরটি হচ্ছে যখন ওই অঞ্চলটিতে নাটকীয় সব পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে।

এক সময় সিরিয়া ও তার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ গোটা আরব বিশ্বে একঘরে হয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন সেই প্রতিবেশীদেরই কারো কারো সাথে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে আক্ষরিক অর্থেই বুকে বুক মেলাতে দেখা যাচ্ছে।

আরব লিগে ফেরার পথে সিরিয়া
একের পর এক আরব দেশ এখন সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। এবং তারা এটা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিরোধিতা উপেক্ষা করে।

আগামী ১৯ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে, এতে সিরিয়াকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা যাবে। যার পরে কোনো একসময় তারা আবার আরব লিগের পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পাবে।

আরব-ব্রিটিশ সমঝোতা কাউন্সিলের পরিচালক ক্রিস ডয়েল বলছেন, সিরিয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ক্ষেত্রে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা ভরাতে স্থানীয় শক্তিগুলো এখন এগিয়ে আসছে।

“রাশিয়া ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তারা তাদের ‘হাত ধুয়ে ফেলে’ সিরিয়ার ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব ত্যাগ করেছে,” বলছিলেন ডয়েল।

‘এই শূন্যতার মধ্যেই আঞ্চলিক শক্তিগুলো এগিয়ে এসেছে,’ বলেন তিনি।

‘কারণ তারা দেখছে যে এখানে যদি কোনো কিছুই না বদলায়, একটা প্রকৃত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে আমরা একটা অঞ্চল হিসেবে সিরিয়াকে তো উপেক্ষা করতে পারি না। কারণ সিরিয়া একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশ।’

উষ্ণতর হচ্ছে সম্পর্ক
এই যে পরিবর্তন, তা সত্যি চমকপ্রদ।

কারণ ২০১১ সালের শেষ দিকে বেশ কিছু আরব দেশই পরিকল্পনা করছিল একটা 'আসাদ-উত্তর' যুগের জন্য। কারণ সে সময় ২২ সদস্যের আরব লিগ থেকে সিরিয়াকে সাসপেণ্ড করা হয়েছিল।

কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের কাছেই ছিল আরব লিগের হেডকোয়ার্টার। সে সময় সিরিয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সিরিয়ানরাই শ্লোগান দিচ্ছিল, পতাকা দোলাচ্ছিল।

সে সময় সিরিয়ার ভেতরে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর বর্বর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার শরণার্থী দেশ ছেড় পালাচ্ছে। কিছুকাল পরে তো সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী নির্বিচার ব্যারেল বোমাবর্ষণ এবং গ্যাস আক্রমণের মতো গুরুতর নৃশংসতাও চালিয়েছে।

পরের এক দশকে সিরিয়ায় যা ঘটেছে- তার পরিসংখ্যান হতবাক করার মত।

দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকই হয় শরণার্থী, নয়তো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের রক্ষণশীল হিসেবে অনুযায়ী তিন লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। বন্দী বা নিখোঁজ হয়েছে এক লাখেরও বেশি সিরিয়ান।

কিন্তু এই রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের গতিপথ বদলে যায় ২০১৫ সালের রাশিয়া এতে সামরিকভাবে জড়িত হয়ে পড়ার পর।

সিরিয়ার প্রতিবেশীরা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রেখেই দেশটির জন্য একটা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে বাধ্য হয়।

‘জর্ডনের জন্য এটা ছিল এক গেম-চেঞ্জার’– বলছেন ওসামা আল-শরিফ, আম্মানের একজন সুপরিচিত সাংবাদিক। তিনি বলছেন, তার দেশ তখন একটা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন এবং চাপ প্রয়োগের জন্য মস্কোর দিকে মুখ ফেরায় তারা।

‘সেটা ছিল এমন একটা সময় যখন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, তা ছাড়া লেবাননের হেজবোল্লাহ এবং অন্যান্য ইরানপন্থী গোষ্ঠী সীমান্তের খুব কাছে অবস্থান নিয়েছে।’

প্রেসিডেন্ট আসাদ শেষ পর্যন্ত সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ সংহত করেছিলেন। কিন্তু বিশেষ করে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর ত্রাণ সহায়তা দেবার সময়ই দামেস্কের সাথে সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আরব দেশগুলোর প্রয়াসে গতিসঞ্চার হয়।

এর পরে দেখা যায়, চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিধর দেশ সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠা হয়। এ দুই দেশ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দুই বিরোধী পক্ষকে সমর্থন করছিল।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেলে তাদের সাদর সংবর্ধনা দেয়া হয়।

আবু ধাবিতে আসাদের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী আসমাও। গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো সরকারি সফরে তাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গী হতে দেখা যায়। বিমান বন্দরের টারমাকে আসমাকে আলিঙ্গন করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ।

এরই মধ্যে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসর, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া এবং জর্ডন সফর করেছেন।

সৌদি আরব জোর দিয়ে বলেছে যে তারা সিরিয়াকে আবার ‘আরব বলয়ে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে’ আলোচনা করছে।

'ভুল বার্তা'
তবে সিরিয়াকে কখন এবং কিভাবে এই আরব বলয়ে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে আরব দেশগুলোর মধ্যে গভীর বিভক্তি রয়েছে।

সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিকল্পনা করছে সিরিয়াকে দ্রুত আবার আরব লিগের সদস্য করে নিতে।

কিন্তু কাতার, কুয়েত, মিসর এবং জর্ডান দৃশ্যতঃ এর বিরোধিতা করছে।

এসব আলোচনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ওই অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন ‘সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠা করতে একটা তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে কিন্তু সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে কী কী গ্যারান্টি চাওয়া হচ্ছে - তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কেউই কিছু বলতে পারছেন না।’

“এটা একটা দুঃখের বিষয় কারণ এতে ভুল বার্তা যাচ্ছে’ বলেন এই কর্মকর্তা। তার কথায় সিরিয়ানরা “উদ্ধত আচরণ করছে, যেন তাদের ফিরে পাওয়াটা অন্য সবার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।“

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনস্থাপন করা বা কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞ তুলে নেয়াকে সমর্থন করে না। কারণ দামেস্ক এখনো তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য কোন দুঃখপ্রকাশ করেনি, কোনো সংস্কারও করেনি।

মার্চ মাসেই মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবারা লিফ বলেছেন, সিরিয়া একটি ‘দুর্বৃত্ত শাসকচক্র‘ এবং তাকে ঠিক সেভাবেই দেখা উচিত।

তবে তিনি তার আরব মিত্রদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা এটা নিশ্চিত করেন যে আসাদের বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটিয়ে তারা কিছু একটা পেতে পারেন।

তিনি আভাস দেন যে এর একটা কারণ হতে পারে অবৈধ মাদক ক্যাপ্টাগন ব্যবসা বন্ধ করা – যা সিরিয়াতে উৎপাদিত হয় এবং সেখান থেকে চোরাই পথে বাইরে যায়।

অ্যামফিটামিন জাতীয় এই মাদককে বলা হয় ‘গরিবের কোকেন।’

আমি দেখেছি একটি হাসপাতালে ক্যাপ্টাগন আসক্ত তরুণদের চিকিৎসা চলছে, যারা জর্ডান ও উপসাগরের অন্য আরব দেশগুলো থেকে আসা।

এটি এখন সিরিয়াকে একটি মাদকপাচারকারী রাষ্ট্রে পরিণত করছে এবং আরব বিশ্ব জুড়ে দুর্ভোগের বীজ বপন করছে।

আরেকটি দাবি হতে পারে সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি কমানো।

তার পর রয়েছে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাতে শরণার্থীরা দেশে ফিরে আসতে পারে এবং এখনো যেসব জায়গা বিরোধী দলের নিয়ন্ত্রণে আছে সেখানে বসবাসরত লোকদের নিরাপত্তা বিধান করা।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সিরিয়ার বিভক্ত বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সাথে আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

আরব দেশগুলো এটাও চাইবে যে কমপক্ষে একটা ‘টোকেন’ প্রয়াস চালিয়ে হলেও দামেস্ক এটা দেখাক যে তারা বিরোধীদের সাথে কাজ করতে চায়।

সিরিয়া-বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত গাইর পেডারসেন এজন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ‘সিরিয়ার প্রতি যে নতুন করে আগ্রহ দেখানো হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিযে নেয়া যেতে পারে’ বলেন তিনি।

আরব দেশগুলো সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে যে প্রয়াস চালাচ্ছে তাকে অনেক সিরিয়ানই হতাশ বোধ করবে।

সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে এখনো যে এলাকাগুলো আছে, সেখানকার লাখ লাখ বাসিন্দারা একসময় সৌদি আরব এবং অন্য আরব দেশগুলোকে দেখতো বাশার আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাদের মিত্র হিসেবে।

এখন তারা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন মনে করছে।

লেবানন এবং তুরস্কে এখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সিরিয়ান শরণার্থীদের ব্যাপারে স্থানীয়দের সমর্থন কমে গেছে।

এই শরণার্থীদের মধ্যে এখন দুশ্চিন্তা বাড়ছে যে তাদের হয়তো জোর করে দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে।

সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে এতদিন প্রধানতঃ সমর্থন দিয়ে এসেছে তুরস্ক। কিন্তু এখন তুরস্কই দামেস্কের সাথে কথা বলছে। আগামী ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচন এবং দেশটির প্রায় সব রাজনৈতিক দলই বলছে, তারা সিরিয়ানদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায়।

‘নির্বাচনের ফল নিয়ে আমরা খুবই আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তারা স্পষ্ট করেই বলছে যে তারা আমাদের বের করে দিতে চায়’ বলছিলেন মুহাম্মদ, ইস্তুাম্বুলে থাকা একজন সিরিয়ান শরণার্থী যিনি একটি কফির দোকান চালান।

সিরিয়াকে আরব বলয়ে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তাতে সেখানে অতীতে যেসব নৃশংসতা চলেছে, তার উল্লেখ করা হচ্ছে খুবই কম।

এতে গভীর হতাশা প্রকাশ করছেন মানবাধিকার কর্মীরা ।

‘এটা হতবাক করার মতো ব্যাপার’ বলছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক ডায়ানা সেমান। ‘আমরা এখন যা দেখছি তাতে সিরিয়ার সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে।’

‘এতে এমন একটা বার্তা দেয়া হচ্ছে যে আগে কী ঘটে গেছে তাতে কিছু এসে যায় না,’ বলেন তিনি।

অ্যামনেস্টি আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা বেসামরিক মানুষের ওপর নতুন আক্রমণ, আটকাদেশ ও নির্যাতন বন্ধের জন্য সিরিয়ার শাসকচক্রের ওপর তাদের প্রভাবকে ব্যবহার করে।

যারা নিখোঁজ তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা বের করার জন্য তাদের স্বজনদের সহায়তা করতে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা করার চেষ্টা করছে জাতিসঙ্ঘ। এর সাথে সহযোগিতার আহ্বানও জানানো হচ্ছে।

জেনেভায় কিছু আইনজীবীর একটি দল সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য কাজ করছে।

কিছু সিরিয়ান মনে করে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে তা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে সাহায্য করবে।

সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মানুষ বিদ্যুৎ সঙ্কট ও তীব্র মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের হাইকো ভিমেন বলছেন, আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো যে এখন সিরিয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলোর পুননির্মাণের জন্য শত শত কোটি ডলার দেবে, তেমন সম্ভাবনা কম।

অর্থসঙ্কটে আক্রান্ত সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে মানবিক ত্রাণ হিসেবে পাওয়া লাখ লাখ ডলার সরিয়ে ফেলা এবং মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

এটা নিয়তির পরিহাস যে সিরিয়ার সরকার এমন সব সমস্যা সৃষ্টি করেছে যে জন্য তার প্রতিবেশীরা তাকে আর উপেক্ষা করতে পারছে না। যদিও সিরিয়ার যুদ্ধ এবং তার অভিঘাত এখন বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমের হেডলাইন থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে।

সূত্র : বিবিসি