Naya Diganta

বাংলাদেশ বাকি বিশ্বের কাছে মডেল : মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী


জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ আজ বাকি বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। সেই সাথে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতার পরিচয় দিয়েছে।
বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

জুলিয়েটা নয়েস বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা জোরদার করেছে। দুই দেশ অভিবাসী এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এবং আরো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব জোরদার করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সঙ্কটে একক বৃহত্তম দাতা দেশ, এ জন্য আমি গর্বিত। স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে এবং রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং সম্প্রসারণ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির জনগণের পক্ষ থেকে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে তাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।