Naya Diganta

ফরিদপুরের নির্যাতিত সেই পিতাপুত্রের বাসায় জেলা প্রশাসক

ফরিদপুরের নির্যাতিত সেই পিতাপুত্রের বাসায় জেলা প্রশাসক

ফরিদপুরের মধুখালীতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতাপুত্রের অবস্থা সরজমিনে দেখতে তাদের বাসায় গেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদার। আজ শনিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দিতে ইয়ামিন মৃধা ও তার পরিবারের বসবাসের ভাড়া বাসা পরিদর্শন করেন এবং খোঁজখবর নেন।

এসময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ইয়ামিন মৃধা ও তার পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাদের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ও চাল, ডাল, তেল, লবণসহ বেশকিছু ফলমূল উপহার তুলে দেন তাদের হাতে।

এসময় জেলা প্রশাসক তাদের দুরাবস্থার খবর জানতে পেরে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এছাড়া মধুমতি নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মাঝকান্দিতে ভাড়া বাসায় বসবাসরত এই পরিবারটিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তিনি ইয়ামিন মৃধার সন্তানদের পড়াশুনার দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়াছিন কবীর, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী, জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামছুল আলম বাচ্চু, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মিয়াসহ স্থানীয় ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ইয়ামিন মৃধা (৪০) ও তার ছেলে রাজন মৃধাকে (১৫) নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি এই ঘটনার মূলহোতা স্কুল শিক্ষিকা ইশরাত জাহান লিপি ও তার সহযোগী রুমা। আর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও ইতোমধ্যে তিনি জামিনে বেরিয়ে গেছেন। অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ছেলে রাজন ঘটনার পর মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখনো সংশোধনাগারে রয়েছে বলে জানা গেছে।