Naya Diganta

গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার কেটে মিলল ৬৪ হাজার পিস ইয়াবা

অভিনব কায়দায় দুটি প্রাইভেট কারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে পাচারকালে ৬৩ হাজার ৭৬৫ পিস ইয়াবাসহ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকার তিন কন্যা হোটেলের সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট পরিচালনা করে র‌্যাব তাদের গ্রেফতার ও ইয়াবা উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম মাইনুদ্দিন (২৮), সোহাগ (২০), মো: জাওয়াদ (২৪), শাহরিয়ার রাব্বি (৩২), শাওন (২১) ও মো: রানা (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় দুটি প্রাইভেট কার।
র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, মাদক কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, ইয়াবার বড় একটি চালান কক্সবাজার হতে বিশেষ কৌশলে (প্রাইভেট কারের সিলিন্ডারে) বহন করে ঢাকার দিকে নিয়ে আসছে একটি চক্র। র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র‌্যাব-১ এর একটি দল এই মাদকবাহী চক্রের অনুসন্ধান শুরু করে।


র‌্যাব-১ এর একটি দল জানতে পারে, ইয়াবার চালানটি ঢাকা হয়ে গাজীপুর জেলার দিকে যাচ্ছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকার তিন কন্যা হোটেলের সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট পরিচালনা করে। এ সময় ৬ জনকে গ্রেফতার ও জব্দ করা হয় তাদের দুটি প্রাইভেট কার। জব্দ একটি প্রাইভেট কারের গ্যাস সিলিন্ডার কেটে ৪০ হাজার পিস ও অপর প্রাইভেট কারের গ্যাস সিলিন্ডার কেটে ২৩ হাজার ৭৬৫ পিস ও ১১০ গ্রাম ভাঙ্গা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে ৪টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৮টি মোবাইল ফোন, ১টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ৪টি হাতঘড়ি ও নগদ ১৬ হাজার ৬৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র‌্যাবকে জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রথমে তারা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা কক্সবাজারের একটি গ্যারেজে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা ঢুকিয়ে ঝালাই দিয়ে দেয়।
তারা ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে মাদক কারবারিদের নিকট সরবরাহ করে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে আসছিল। তারা অধিক উপার্জনের লোভে পড়ে মাদককারবারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। ইতোপূর্বে ৬টি ইয়াবার চালান একই উপায়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করেছে বলে তারা স্বীকার করে।