Naya Diganta

বিপ্লবের পর রিশাদ

আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ব্যাটসম্যান থেকে অনেকটা জোর করেই তাকে বানানো হয়েছিল লেগ স্পিনার। চমকটা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১০ টি-২০ খেলেই জাতীয় দল থেকে বহুদূরে চলে গেছেন বিপ্লব। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক আমিনুলের। কোভিডের পর ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষবার তাকে জাতীয় দলে ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার সুযোগ নিয়মিত নয়। লেগ স্পিনারের তকমা পাওয়ার পর ব্যাটিংটাও যেন হারিয়ে গেছে। এবার লেগ স্পিনারের তালিকায় যুক্ত হলো ২০ পেরুনো রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের ৮০তম টি-২০ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো তার। বিপ্লবের পর প্রথম লেগ স্পিনার।
রিশাদ নিয়মিত ‘এ’ দল, বিসিবি একাদশ, এইচপি দল, বাংলা টাইগার্সে খেলেছেন। জাতীয় দলের নেটে যখন তখন তার ডাক পড়েছে। দেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও তাকে বোলিং করতে উড়িয়ে নেয়ার ঘটনাও রয়েছে। পাঁচ বছর আগে স্বীকৃত ক্রিকেটে রিশাদের অভিষেক হলেও নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ কমই পেয়েছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে মাত্র ২৮টি ম্যাচ খেলেন। চলমান ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে তিন ম্যাচের কোনোটিতেই একাদশে ছিলেন না। সবশেষ টি-২০ খেলেছেন ২০২১ সালের জুনে।
২০১৭ সালে স্পিনার হান্টে যোগ দেন রিশাদ। জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হয়ে বিভাগীয় পর্যায়েও জিতে রিশাদ চলে আসেন জাতীয় পর্যায়ে। শেষ পর্যন্ত স্পিনার হান্টের বিজয়ী হতে পারেননি, তবে ছিলেন সেরা দশে। সাথে পেয়ে যান সেরা ‘অ্যাকুরেসি’ স্পিনারের পুরস্কার।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলেন। নানা পথ ঘুরে গতকাল অধিনায়ক সাকিবের হাত থেকে পেয়েছেন অভিষেক ক্যাপ। হাথুরুসিংহের হাত ধরে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের আর্বিভাব হয়েছিল। তবে লিখনের ওপর আস্থার হাত সরাতে সময় নেননি হাথুরুসিংহে। রিশাদের কি হবে, থাকতে হবে অপেক্ষায়।