Naya Diganta

কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা রদে ধোনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

জম্মু ও কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার জন্য ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা রদ করেছিল ভারত সরকার। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ‘টপ সিক্রেট’ সিদ্ধান্ত। এমনটা যে হতে চলেছে, তা জানতেন হাতেগোনা কয়েকজন। তাবড়-তাবড় অফিসারও কিছু জানতেন না। আর পাকিস্তান যাতে ঘুণাক্ষরেও টের না পায় যে বড় কিছু একটা হতে চলেছে, সেজন্য বিশেষ কৌশল নেয়া হয়েছিল। সেইসাথে আরো একটি ‘চাল’ দিয়েছিলেন চীনার কোরের তৎকালীন কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ধিঁলো। যা তিনি নিজেই ফাঁস করলেন। তিনি জানান, পাকিস্তান যাতে বুঝতে না পারে যে কাশ্মিরে বড় কিছু একটা হতে চলেছে, সেজন্য ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বেশি ছুটোছুটি করেননি। বরং নিজের বাসভবনে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে চা পান করছিলেন। সকালে দেড় ঘণ্টা গল্প জুড়েছিলেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মির থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যে ঘোষণার আগে কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। কাশ্মিরে শান্তি বজায় রাখাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। তাই যারা উস্কানি দিয়ে ভূস্বর্গের পরিস্থিতি জটিল করে থাকে, তারা যাতে আগেভাগে বুঝতে না পারে যে বড় কিছু হতে চলেছে, সেটার উপরও বিশেষ জোর দেয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টি জানতেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা। যে তালিকায় ছিলেন চীনার কোরের (চীনার কোর জম্মু ও কাশ্মিরে কাজ করে) তৎকালীন কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ধিঁলো।
সেই ৩৭০ ধারা রদের পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য লালনানটপে একটি সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ধিঁলো বলেন, ‘কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা রদের যে পরিকল্পনা করা হতো, সেটা আমার (চীনার কোরের কোর কমান্ডার) ড্রয়িংরুম থেকে হতো। ইংরেজিতে আমি সবসময় বলি, মাত্র আড়াইজন জানতেন যে কাশ্মিরে কী হতে চলেছে (দু’জন পুরো পরিকল্পনা জানতেন, একজন অল্পবিস্তর জানতেন)। তাদের মধ্যে আমি একজন ছিলাম।’