Naya Diganta

ব্যাটিং ধসের পর শামীম বীরত্বে মান বাঁচানো সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ

বলা যায় আজ একাই লড়াই করেছেন শামীম পাটোয়ারী

প্রথম দুই ম্যাচ থেকে বিপরীতমুখী অচেনা এক বাংলাদেশের দেখা মিললো আজ। প্রথম দুই ম্যাচে যেখানে টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙাই দায় ছিল, সেখানে আজ দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট উল্লাসে মাতে আইরিশরা। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে একের পরে এক। যেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান শামীম, তার ব্যাটে ভর করে ১২৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

আসা-যাওয়ার মিছিলে দাঁড়িয়ে একাই লড়ে যান শামীম। নেমেছিলেন পাওয়ার প্লের ২ বল বাকি থাকতেই, দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন একদম শেষ ওভারে। এর মাঝে তুলে নিয়েছেন লাল-সবুজের জার্সিতে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম অর্ধশতক, আউট হন ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ রান করে।

এইদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন লিটন, মার্ক অ্যাডাইরের বলে ৪ বলে ৫ রান করে ডকরেলের তালুবন্দি হন তিনি। পরের ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ৮ বলে ৪ করে টেক্টরের বলে। আর দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি তালুকদার, ১০ বলে ১৪ রানে আউট হন তিনি।

এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ে এগিয়ে নিয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখালেও তা আর হয়নি, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন সাকিব। আর পরের ওভারেই ফেরেন হৃদয়ও। ১০ বলে ১২ রান করেন তিনি। ৬.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪১/৫!

মাঠে তখন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান শামিম পাটোয়ারী। অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। ২০ রান যোগ করেন দুজনে মিলে। এরপর আইরিশদের পক্ষে অভিষিক্ত হামফ্রেইজের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন রিশাদ। একবল পরেই ০ রানে ফেরান তাসকিন আহমেদকেও। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান।

এরপর শামীম জুটি বাঁধেন নাসুম আহমেদের সাথে। টুকে টুকে রান নিতে থাকেন দুজনে, বাড়াতে থাকেন দলের সংগ্রহ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রানের জুটি আসে তাদের দুজনের ব্যাটে। ১৩ রান করে নাসুম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ১৬ ওভারে পূরণ হয় দলীয় শতরান। পরের ওভারে হয় নবম উইকেটের পতন, ফেরেন শরিফুল। আর শেষ ওভারে ফেরেন শামিম পাটোয়ারী।

আইরিদের হয়ে ৩ উইকেট নেন মার্ক অড্যাইয়ার, ২ উইকেট নিয়েছেন হামফ্রেইজ।