Naya Diganta

বগুড়া জিয়া মেডিক্যালে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ৫টি রুম ভাংচুর, আহত ৮

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত ও ৫টি রুম ভাংচুর করা হয়েছে।

শজিমেক ছাত্রাবাসে বুধবার রাত ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগের শজিমেক শাখা সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয় এবং সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা,ফুয়াদ ও অমিও। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শিক্ষার্থীরা জানান, চলতি শিক্ষা বর্ষে এমবিএসএস ১ম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানো কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা চলছিল। এমন অবস্থায় বুধবার রাতে দু‘পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

শজিমেক ছাত্রাবাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানো কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার অন্তত ৫টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয় ।

শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেছেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।’

অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ‘সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথম আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চারজন কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’

বগুড়া সদর থানার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে । আহতরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।’