Naya Diganta

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হুঁশিয়ারি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হুঁশিয়ারি

সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে পূর্বের ন্যায় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিদিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ কার্যক্রম যদি আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে শুরু না করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির সাধারন সভায় তিন শতাধিক শিক্ষকদের উপস্তিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এদিকে দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা না গেলে সেশন জটের একটা শঙ্কা লক্ষ্য করছেন তারা। তাই দ্রুত সময়ে সিন্ডিকেট আহ্বান করে অ্যাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।

এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পরও যদি গুচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাকে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫ সালের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। তাদের মতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে যদি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গুচ্ছে থেকে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে সংশোধন করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ড.লুৎফর রহমান বলেন, আজকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সকল শিক্ষকদের দাবি ছিলো অ্যাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা। আর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী মাসের ২ তারিখের পর সকল শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে। যদি ২ এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ও ভর্তি কার্যক্রম প্রকাশ না করে তাহলে ৩ এপ্রিল আমরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছি। ওই মানববন্ধন থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষক সমিতির এসব দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষকরা দাবি নিয়ে আমার কাছে আসছিলো। আমি তাদেরকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি। বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। হুট করে আমি নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করতেও অন্ততপক্ষে পাঁচদিন সময় দরকার। তবে তারা যদি আন্দোলন করতে চাই তাহলে করুক। আন্দোলন করলে তো আমি তাদেরকে বাঁধা দিতে পারব না।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নং ধারায় "বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃত এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা প্ররিচালিত হবে।"