Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

নি ত্যো প ন্যা স

নয়.
দাদিও ব্যথায় আহ উহ করে চিল্লাল। ‘আমার হাঁটুর ব্যথা উঠতে পারছি না। তুমি দাও। টিভির সামনে বসে তো শিকড় গজিয়ে গেছে।’
অনিক তাড়াতাড়ি বলল, ‘না দাদি, কিছু লাগবে না। আম্মু ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। আসার পথে আমরা খেয়ে এসেছি। একটু আগেই খেলাম।’
দাদা বোধ হয় বিস্কুট টিস্কুট কিছু একটা বের করার জন্য টিভির সামনে থেকে উঠে পড়েছিল। অনিক দাদাকেও একই কথা বলে তাড়াতাড়ি বলল, ‘যাই দাদি, বিকেল থেকেই বাইরে বাইরে। পড়তে বসতে হবে।’ অনিক ভালো করেই জানে, এই দাদা দাদি শ্রেণির কাছে পড়তে বসার কথা বলেই সবচেয়ে বেশি রেহাই পাওয়া যায়।
দাদা-দাদির ফ্লাট থেকে বেরিয়ে অনিক নিজেদের ফ্লাটে গেল না। পায়ে পায়ে হেটে সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে ছাদে উঠে গেল। ছাদের নিচের পাঁচতলার ফ্লাটটাতেই বড় চাচা চাচি থাকেন। বড় বলেই তাদেরকে ওটা দেওয়া হয়েছে। বড় চাচার এক ছেলে। শিহাব ভাইয়া। অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছিলেন। এখনো ওখানেই আছেন। বিয়ের জন্য পাত্রী ফিক্সড হলেই দেশে আসবেন এমনটা শোনা যায়।
অনিক অনেকটা চুপি চুপিই ছাদে উঠে এলো। ছাদের দরজা দেওয়া থাকলেও তাতে কোনো তালা দেওয়া নেই। তবে দরজাটা টিনের বলে খুলতে লাগাতে গেলে শব্দ হয়। অনিক খুব সাবধানে খুলল যাতে শব্দ পাঁচতলায় বড় চাচির বাসায় না যায়।
(চলবে)