Naya Diganta

দোহারে ব্লক কৃষি কর্মকর্তাকে চেনেন না কৃষকরা!

ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের পালামগঞ্জ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঈশিতা আক্তার। দীর্ঘ তিন বছর ধরে তিনি এ পদে দায়িত্বপালন করলেও এলাকার কৃষকেরা তাকে কখনো দেখেননি, চেনেনও না। অথচ এ পদের প্রধান কাজ হলো মাঠপর্যায়ে কৃষক ও কৃষকের উৎপাদিত ফসলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা। ইকরাশী, লক্ষ্মীপ্রসাদ ও পালামগঞ্জ এলাকা নিয়ে এ ব্লকটি গঠিত। ফসল উৎপাদনের সময় কৃষিবিষয়ক সঠিক পরামর্শ না পাওয়ায় কাক্সিক্ষত ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগেও কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্যের খোঁজখবর রাখেন না এই কৃষি কর্মকর্তা। গত বছরের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিত্রাংয়ে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও তিনি এ বিষয়ে কোনো খবর রাখেননি।
লক্ষ্মীপ্রসাদের কৃষক শওকত আলী বলেন, ‘বর্তমানে কৃষি অফিসার কে তা আমি জানি না। কৃষি অফিসার যদি আমাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।’ লক্ষ্মীপ্রসাদ সড়ক পাড় এলাকার কৃষক সুজন দেওয়ান বলেন, ‘আমি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। সরকার বিভিন্ন সময়ে কৃষি প্রণোদনা দিয়ে থাকে বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত কিছুই পাইনি। কৃষি কর্মকর্তা এ বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য দেন না।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঈশিতা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পক্ষে সব কৃষকের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে চেষ্টা করি সবার সাথে যোগাযোগের
চেষ্টা করতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ধরনের অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।