Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

নি ত্যো প ন্যা স

আট.
দাদি প্রথমে কথাটা বুঝে উঠতে পারেননি। ‘কে মারা যাবে?’
‘না মানে... কেউ মারা গেছে কিনা?’
‘কি সব আবোল তাবোল বকছিস? গল্প উপন্যাস পড়ে মাথায় ভূত ঢুকেছে?’
‘বলো না দাদি। ব্যাপারটা ইমপর্টেন্ট।’
‘মারা তো গেছেই। আমার বাবা মা মারা গেছে। তোর দাদার বাবা মা মারা গেছে।’
‘উহু। ওরকম না। অপঘাতে মৃত্যু। মানে সাধারণ শুয়ে বসে রোগ শোকে ভুগে মারা যাওয়া না।’
দাদি যেন একটু চিন্তা করলেন। এমনকি একবারও হাঁটুর ব্যথায় আহ উহু করলেন না। হয় মুভ কাজ শুরু করেছে, নয়তো মানুষ গভীর চিন্তার মধ্যে থাকলে ব্যথা ভুলে যায়। ‘এ বাড়িতেই তো একজন মারা গিয়েছিল। তবে ও ঠিক আমাদের কেউ না। এজন্যই প্রথমে মনে পড়েনি। যদিও আমাদের একজন হয়ে গিয়েছিল। তোর বড় চাচার বাড়ির কাজের মেয়ে সুমি। এই তোর মতোই বয়স ছিল। তেরো চৌদ্দ বছর। গ্রাম থেকে এসেছিল। কি হয়েছিল ঠিক জানি না, তোর চাচা চাচি মারধরটোর কিছু একটা করেছিল বোধ হয়। তারপর ছাদের পানির টাংকির সিঁড়ির সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তুই তখন অনেক ছোট। থানা পুলিশ হয়েছিল। তোর বড় চাচা অনেক টাকা পয়সা দিয়ে মিটমাট করিয়ে নিয়েছিল। সুমির পরিবারকেও লাখ টাকা দিয়েছিল।’
ড্রয়িংরুম থেকে দাদার চিল্লানি শোনা গেল। ‘অনিক এসেছে, কিছু নাস্তাটাস্তা দাও।’ (চলবে)