Naya Diganta

চিরিরবন্দরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর অনশন

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিন দিন ধরে ইউপি সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন গাইবান্ধার এক তরুণী।

বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল থেকে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।

ওই নারীর স্বামী মো: রেজাউল করিম উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বড় বাউল গ্রামের মো: সামছুল আলমের একমাত্র ছেলে।

স্থানী সূত্রে জানা গেছে, সামছুলের সাথে প্রেমের সূত্র ধরে গত ২০২০ সালের ১০ আগস্ট চার লাখ টাকা দেনমোহরে গোপনে বিয়ে সম্পন্ন হয় ওই তরুণী প্রেমিকার। বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্কের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী।

আরো জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি প্রেমিক স্বামীকে জানালে সুচতুর স্বামী মুঠোফোন বন্ধ করে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অবশেষে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে এলে প্রেমিক স্বামী রেজাউল করিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে ওই এলাকার ইউপি সদস্য সুমন শাহর বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই প্রেমিকা স্ত্রী।

অনশনকারী ওই তরুণী স্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রেমিক স্বামী রেজাউল হক গাইবান্ধায় একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে এলে সেখানে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে তিনি আমাকে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং শারীরিক সম্পর্ক করেন। ফলে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি আমি তাকে মুঠোফোনে জানালে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে এলে স্বামী পালিয়ে যান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধ্য হয়ে বর্তমানে আমি ইউপি সদস্য সুমন শাহর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি।

তিনি আরো জানান, বিয়ের স্বীকৃতি না পেলে আত্নহত্যা করবেন।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বজলুর রশিদ বলেন, লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে জানার পর মেয়ের বাড়ি গাইবান্ধা সদরের ওসির সাথে যোগাযোগ করে মেয়ের বাবা-মাকে আসার অনুরোধ করেছি।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। সমাধান না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।