Naya Diganta

ধুনটে পথরোধে ২ পল্লী চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত, গ্রেফতার ১

আহত জহুরুল ইসলাম বিটুল

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে পথরোধ করে ২ পল্লী চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেলাল হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরের দিকে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাসখালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পল্লী চিকিৎসকদের নাম আলমগীর হোসেন (৩৫) ও জহুরুল ইসলাম বিটুল (৩২)। আলমগীর হোসেন ঈশ্বরঘাট গ্রামের চান মিয়ার ছেলে এবং জহুরুল ইসলাম বিটুল একই গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। তারা বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে ছুরিকাহত হন।

আর গ্রেফতার হওয়া আসামি বেলাল হোসেন ঈশ্বরঘাট গ্রামের দুদু আকন্দের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ বেলাল হোসেনের পরিবারের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করা হলেও আপস মীমাংসা হয়নি। এমন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন তার চাচাত ভাই হোমিও চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম বিটুলকে সাথে নিয়ে কান্তনগর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। তারা হাসখালী বাজার এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষ বেলাল হোসেন ও তার লোকজন পথরোধ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বেলাল হোসেনের লোকজন জহুরুল ইসলাম বিটুলকে ছুরিকাঘাত করে।

আলমগীর হোসেন তার ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত ও মারপিট করা হয়। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় আলমগীর ও বিটুলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে আলমগীরের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অস্ত্রপচার শেষে সেখানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বিটুলকে বগুড়া হাসপাতালেই রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ববি খাতুন শুক্রবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে ধুনট থানায় মামলা করেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।