Naya Diganta

রাশিয়ার থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ!

প্রায় সম্পূর্ণরূপে থ্রিডি-প্রিন্টেড যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি রকেট টেরান-১ বুধবার রাতে উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে তিনবারের চেষ্টায় উৎক্ষেপণ সফল হলেও কক্ষপথে পৌঁছাতে পারেনি রকেটটি।

রকেটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিলেটিভিটি স্পেস জানিয়েছে, ছয় বছর আগে তৈরি কোম্পানির প্রথম মেটাল থ্রিডি প্রিন্ট ছাড়া পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটে আর কিছুই ছিল না।

উদ্ভাবনকারীরা রকেটটিকে ১২৫ মাইল উঁচু কক্ষপথে স্থাপন করতে চেয়েছিল, তবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছানোর আগেই রকেটের ওপরের অংশে আগুন ধরে যায়।

জানা যায়, কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করার পর প্রথম ধাপে রকেটটি ঠিকঠাকই কাজ করেছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী আলাদা হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরই ওপরের অংশে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায় এবং তারপর বন্ধ হয়ে আটলান্টিকে ধসে পড়ে।

এ বিষয়ে রিলেটিভিটি স্পেসের টেস্ট ও লঞ্চ টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আরওয়া তিজানি ক্যালি বলেন, ‘কেউ কখনো থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পাঠানোর চেষ্টা করেনি। আমরা হয়তো পুরোপুরি সফল হইনি, তবে প্রমাণ করতে পেরেছি যে থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট ওড়ানো সম্ভব।’

১১০-ফুট (৩৩-মিটার) রকেটের বেশিরভাগ ইঞ্জিনসহ, ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে কোম্পানির বিশাল থ্রিডি প্রিন্টার থেকে বানানো হয়েছে।

রিলেটিভিটি স্পেস বলেছে থ্রিডি-প্রিন্টেড ধাতব অংশগুলো দিয়ে টেরান-১ রকেটের ৮৫ শতাংশ তৈরি হয়েছে। রকেটের বড় সংস্করণে আরো বেশি কিছু থাকবে এবং একাধিক ফ্লাইটের জন্য বারবার ব্যবহার করা হবে।

অন্য মহাকাশ সংস্থাগুলোও থ্রিডি-প্রিন্টিংয়ের ওপর নির্ভর করে, তবে টুকরোগুলো তাদের রকেটের খুব ছোট একটি অংশ তৈরি করে।

২০১৫ সালে দুজন তরুণ মহাকাশ প্রকৌশলী রিলেটিভিটি স্পেস তৈরি করে।

সূত্র : ইউএনবি