Naya Diganta

কিংসলে কেন্দ্রিকই আক্রমণভাগ


শেষ মুহূর্তে ব্রুনাই না আসায় তিন জাতি ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। ফলে এখন আফ্রিকান দেশ সেশেলস এবং বাংলাদেশের মধ্যে দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচের সিরিজ। খেলা আগামীকাল ও ২৮ মার্চ। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি নতুন প্রতিপক্ষ নয়। তবে বাংলাদেশ দলের জন্য নতুন সদস্য এলিটা কিংসলে। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পাওয়া এই নাইজেরিয়ানের লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হবে আগামীকাল সিলেট স্টেডিয়ামে বিকেল পৌনে ৪টায়। স্ট্রাইকার সঙ্কটে ভোগা হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনীর জন্য আলোকবর্তিকা হতে পারেন এই ইনফর্ম ফরোয়ার্ড।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওহুদ এফসি ও মালাবির বিপক্ষে দুই প্রস্তুতি ম্যাচেই ৪৫ মিনিট করে মাঠে ছিলেন কিংসলে। দলের সূত্রে জানা গেছে, আগামীকালও তার খেলার জোর সম্ভাবনা। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা দীর্ঘদেহী এই ফরোয়ার্ড এবারের লিগে ঢাকা আবাহনীর জার্সি গায়ে ৭ গোল করেছেন। টুর্নামেন্টেও আছে তার গোল। আদায় করেছেন হ্যাটট্রিকও। দলে স্থানীয় স্ট্রাইকার অমিনুর রহমান সজীব, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, সুমন রেজা, মতিন মিয়ারা থাকলেও কাবরেরার আস্থার প্রতীক হতে পারেন কিংসলে।
সেলেশস দলে সব অপেশাদার খেলোয়াড়ের উপস্থিতি। কেউ জেলে। কেউ বোট চালান। কেউবা অন্য চাকরি করেন। তবে তাদের দৈহিক গঠন বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেয়। তাদের সাথে পাল্লা দেয়ার মতো সব ক্ষমতাই আছে কিংসলের। এখন বাংলাদেশী পরিচয়ে মাঠে নিজেদের তুলে ধরতে পারলেই হলো। যদি এই দুই ম্যাচে কিংসলে গোল পান তাহলে বাফুফেকে ফের ভাবাতে বাধ্য করবে বিদেশী ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের জাতীয় দলে খেলানোটা।

ঘরোয়া ফুটবলে বিদেশীদের দাপটে স্থানীয় স্ট্রাইকারদের উঠে আসার রাস্তা বন্ধই হয়ে গেছে। দু-একজন এক সিজনে ভালো করলেও পরের মৌসুমে বড় দলে গিয়ে হয় সাইড বেঞ্চ গরম করেন। না হয় অন্য পজিশনে খেলতে বাধ্য হয়। তিন বছর আগেও এই বিদেশী কিংসলের জন্য স্থানীয়রা বসে থাকতেন আরামবাগ, মুক্তিযোদ্ধা, বিজেএমসিসহ বিভিন্ন ক্লাবে। এখন সেই কিংসলেই হয়ে গেলেন বাংলাদেশী। তাকে যে আশা নিয়ে এবং আজনা শঙ্কা সত্ত্বেও দলে নেয়া সে প্রত্যাশা তিনি পূরণ করতে পারলেই সাফল্য পাবে লাল-সবুজরা। র‌্যাংকিংয়ে কাছাকাছি অবস্থান বাংলাদেশ ও সেশেলস-এর। বাংলাদেশের ১৯২ ও সেশেলস এর ১৯৯। তবে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবলে তারা ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশের সাথে।