Naya Diganta

সারাবিশ্বে একইদিনে রোজা-ঈদ পালনের দাবি অবৈজ্ঞানিক

সারাবিশ্বে একইদিনে রোজা-ঈদ পালনের দাবি অবৈজ্ঞানিক

রোজা-ঈদ পালনে বিভ্রান্তি নিরসন জাতীয় কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোজা-ঈদ পালনে চাঁদ দেখার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘(রমজানের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখবে না এবং (শাওয়ালের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখা বন্ধ করবে না।’ (সহিহ মুসলিম : ১/৩৪৭) অন্য হাদিসে আছে, ‘(শাবানের ২৯ দিন পূর্ণ করার পর) তোমরা যদি রমজানের চাঁদ না দেখ তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে।’ (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস :৭৩০১) কুরআন-সুন্নাহর আলোকে মীমাংসিত বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি না করার কারণে কিছু মানুষ সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা-ঈদ পালনের অবৈজ্ঞানিক দাবি পেশ করে। যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বুধবার এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ইসলামী শরীয়ত, ভৌগোলিক ও জ্যোতির্শাস্ত্রীয় বাস্তবতার আলোকে কোনোভাবেই সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা-ঈদ পালন করা সম্ভব না। যাদের এ বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ধারণা আছে, তারা কখনো এমন অযৌক্তিক ও অসম্ভব দাবি তুলতে পারেন না। রোজা-ঈদের দিন-তারিখ কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠনের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো আমল না, এটি আসমান-জমিনের রবের বিশ্বজাহান পরিচালনার অনন্য বিধান। এর জন্য কুরআন-সুন্নাহর সঠিক ব্যখ্যা-বিশ্লেষণই একমাত্র সমাধান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেন- রোজা-ঈদ পালনে বিভ্রান্তি নিরসন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও কামরাঙ্গীরচর নূরিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুফতি মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর ঢাকার মুহাদ্দিস মুফতি রায়হান ফারহাত, জামিয়া শারিফিয়া আরাবিয়া লালবাগ ঢাকার মুহতামিম মুফতি হোসাইন সোহরাব, জামিয়া মুহাম্মদিয়া আরাবিয়া মুহাম্মদপুর, ঢাকার শিক্ষাসচিব মুফতি ইসহাক মাহমুদ, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের ইমাম মুফতি ফয়জুল্লাহ বিন মুখতার, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া আশরাফাবাদ কামরাঙ্গীরচর ঢাকার মুহাদ্দিস মুফতি ইলিয়াছ কাসেমী, আগারগাঁও তালতলা সরকারি কলোনি জামে মসজিদের খতীব মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ নোমানী, জামিয়া আরাবিয়া রবিউল উলূম ঢাকার প্রধান মুফতি মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমী, বুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি রাশেদুর রহমান, ইসলামবাগ শাতিউল বাহার মসজিদের খতীব মুফতি হাবীবুর রহমান, নবাবগঞ্জ বড় মসজিদের ইমাম মুফতি মামুন রাহমানী, আমলীগোলা শাহী মসজিদের খতীব মুফতি আল আমিন আজাদ, বায়তুস সালাম জামে মসজিদের খতীব মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন আশরাফী, ইশা’আতে দীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, আন নূরী মসজিদের খতীব মুফতি আব্দুর রহমান, আমীনবাগ জামে মসজিদের খতীব মুফতি ইসমাইল হাবীবী, আল আমিন জামে মসজিদের খতীব মুফতি সাইফুল্লাহ নোমানী, মারকাযুল ফুরকান ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি সালীমুল্লাহ খান সালীম, তালীমুল কুরআন মাদরাসা ঢাকার মুহতামিম মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী, মুফতি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি