Naya Diganta
সম-অধিকার ও বিচারের দাবিতে ছাত্রীরা

জজের কাছে এক অভিভাবককে পা ধরে ক্ষমা নিয়ে তুলকালাম

সম-অধিকার ও বিচারের দাবিতে ছাত্রীরা
জজের কাছে এক অভিভাবককে পা ধরে ক্ষমা নিয়ে তুলকালাম

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সম-অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বৈষম্যের শিকার ছাত্রীরা। একইসাথে জজের পায়ে ধরে এক অভিভাবকের ক্ষমা চাওয়ার জেরে বিচার চেয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তায় সম-অধিকার ও বিচারের দাবিতে তারা অবস্থান নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে একজন বিচারকের মেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না থাকলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হয়। স্কুলে তার কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। স্কুলের নিয়মানুসারে প্রতিটি ক্লাশের রোল অনুযায়ী পাঁচজন ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে ঝাড়ু দেয়। সোমবার শ্রেণিকক্ষে ঝাড়ু দেয়ার পালা ছিল ওই মেয়েসহ আরো চারজনের। বাকি চারজন কাজ করলেও জজের মেয়ে কোনো কাজ করেনি বরং সবাইকে গালাগালি করে ফেসবুকে পোস্ট করে।

বিষয়টি যখন ছাত্রীরা শিক্ষকদের জানায়, তখন শিক্ষকরা সুষ্ঠু বিচার না করে জজের মেয়ের পক্ষে কথা বলে। এরপর ওই ছাত্রীর মাকে স্কুলে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতে জজের পা ধরে মাপ চাইতে বাধ্য করে। এই অপমান মেনে নিতে পারেনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পরে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন ছাত্রীদের স্কুলে ফিরেয়ে নেন। কিন্তু বিচার না পেয়ে আবারো সন্ধ্যায় ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। এরপর স্কুলের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম নিজে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে নেন। সন্ধ্যায় এ নিয়ে সভা বসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সভা চলছিল।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ওই ছাত্রীর মা নিজে থেকেই ক্ষমা চেয়েছেন। তাকে কোনো অপমান করা হয়নি।