Naya Diganta

প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদারের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর শামীম শিকদার।

বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর শামীম শিকদার (৭০) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।


মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিখ্যাত আর্ট কিউরেটর ও আর্টকনের প্রতিষ্ঠাতা এআরকে রিপন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একুশে পদক বিজয়ী এই ভাস্কর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৯ মার্চ তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির আগে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং জাতীয় কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসে ভর্তি করা হয়েছিল।

রিপন ইউএনবিকে জানান, বুধবার সকাল ১১টায় তার লাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।

১৯৫২ সালের ২২ অক্টোবর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী শিকদার ১৫ বছর বয়সে বুলবুল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) ভর্তি হন। ২৩ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্যার জন ক্যাস স্কুল অব আর্ট-এ চলে যান। দেশে ফিরে এসে তিনি ১৯৮০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাবির চারুকলা অনুষদে একজন অনুষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি লন্ডনে ফিরে যান।

তিনি তার শৈল্পিক উদ্যোগ সংরক্ষণের জন্য সাত মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন; তবে এরপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।

তিনি ১৯৯০ সালে ঢাবির টিএসসিতে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ১৯৯৯ সালে ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।

শিকদার ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার, ২০০০ সালে একুশে পদকে পান এবং আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।

মৃত্যুকালে তিনি লন্ডনে বসবাসকারী দুই সন্তান রেখে গেছেন।

সূত্র : ইউএনবি