Naya Diganta

আদমদীঘিতে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ইউএনও টুকটুক তালুকদার

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টুকটুক তালুকদার এখানে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কয়েকটি চ্যালেজ্জিং অভিযান চালিয়ে জনগণের মনে স্থান করে নিয়েছেন এবং সেই সাথে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
জানা গেছে, তিনি বগুড়া জেলার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক অভিযান চালান এলাকার জনসাধারণ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে। ইতঃপূর্বে অনেক ইউএনও আদমদীঘিতে দায়িত্ব পালন করলেও কিছু রাঘব বোয়াল ও বালু খেকোকে জব্দ করতে পারেননি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কুন্দুগ্রাম এলাকার নাগর নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু বিক্রির ফলে নদী ভাঙন ও কুশাবাড়ি ব্রিজ হুমকির মুখে পড়ছিল। বিভিন্ন সময় বগুড়ার জেলা প্রশাসকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বালু উত্তোলন বন্ধে দায়িত্ব দিলেও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেননি তারা। কিন্তু বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযানে বালু উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন সদিচ্ছা ও সততা থাকলে ভালো কাজ করা সম্ভব।
গত ২ মার্চ জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ধানী জমি কেটে পুকুর খনন করার অভিযোগে উপজেলার ইন্দুইলে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তির পুকুর কাটা বন্ধ করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ইউএনও। ১৮, ২৮ ও ১২ জানুয়ারি পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে ট্রাক মালিক হৃদয়কে ১০ হাজার, সাইদুজ্জামান বাপ্পিকে ১০ হাজার ও বাদশা মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত ২৪, ১১, ও ৫ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় কুন্দুগ্রাম ও চাঁপাপুরে নাগর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ৭-৮টি অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপ নিলামে বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন।