Naya Diganta

আরাভ-কাহিনী, ড্রিমল্যান্ডের রূপকথা

আরাভ-কাহিনী, ড্রিমল্যান্ডের রূপকথা।

‘আরাভ জুয়েলার্স’, একটি সোনার দোকান। দেশে নয়, মধ্যপ্রাচ্যে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল একটি মার্কেটে। মালিক বাংলাদেশী। এটুকু পড়লেই মনে বেশ একটা সুখ সুখ অনুভূতি হয়। বাংলাদেশীর এত টাকা! মনে হয়, আলাদীনের চেরাগ নিশ্চয়ই কল্পকাহিনী নয়। আলীবাবার চিচিং ফাঁক-এর গল্পও হয়তো নিছক গল্প নয়। হলে, আরাভ-কাহিনী সম্ভব ছিল না। আলাদীন আর আরাভ খান, নামেও কেমন একটা চেনা চেনা ভাব আছে না!

সুখের আরো উপাদান আছে এই দোকান ঘিরে। এটি এমন এক ব্যক্তির যার বাবা ছিলেন বাংলাদেশের এক অজপাড়াগাঁয়ের সামান্য ভাঙাড়ি বিক্রেতা। নিঃসন্দেহে এটি সুখের খবর। কারণ, আমরা এতদিন কেবল ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাকে স্বপ্নের দেশ বলে জেনেছি। জেনেছি, ওইসব দেশে এমনই বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে যা সবারই স্বপ্নপূরণের সমান সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। সেই পরিবেশে যে কেউ সমাজের সর্বনিম্ন স্তর থেকেও মেধা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম দিয়ে সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে উঠতে পারে। হতে পারে সেইসব দেশের শীর্ষ নির্বাহীও। আজ জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশও সাধারণের স্বপ্নপূরণে ওইসব দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ নামের ড্রিমল্যান্ডের আলাদীন এই আরাভ।

আরাভ জুয়েলার্সের মালিক মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে দুবাইয়ের মতো শহরে সোনার দোকান করার সঙ্গতি অর্জন করেছেন। তিনি এতই সম্পদশালী যে, ওই দোকানের একটি লোগো তৈরি করেছেন ৬০ কেজি সোনা দিয়ে। ঠিকই পড়েছেন, ৬০ ভরি না, ৬০ কেজি সোনায় তৈরি হয়েছে সেই লোগো। ঈগল আকৃতির লোগো তৈরিতে খরচ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। কত হাজার কোটি টাকা থাকলে কারো পক্ষে একটি লোগো তৈরিতে এই পরিমাণ অর্থব্যয় সম্ভব, ধারণা না থাকায় মন্তব্য করছি না, শুধু মৌজটুকু উপভোগ করার জন্যই তথ্যটা উল্লেখ করা। প্রত্যন্ত গ্রামের কুঁড়েঘরে জন্ম নিয়ে আপনার, আমার মতো এক সাধারণ বাংলাদেশী বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু, সবচেয়ে অভিজাত মার্কেটে উঠে গেছেন এর চেয়ে সুখকর বার্তা আমাদের জন্য আর কী হতে পারে?

ঘটনাটি যতই ভাবছি ততই আমার কেবল অস্কার জয়ী ছবি ম্যাকানাস গোল্ডের কথা মনে পড়ছে। ওমর শরীফ অভিনীত সেই ছবি মনে পড়ার বিশেষ কারণ আছে, এমন না। নিছক সোনাপ্রাপ্তির যোগসূত্রেই সম্ভবত এটি মাথায় এসে থাকবে। হলিউডের সেই ছবিতে দস্যু দলের সব ষড়যন্ত্র এড়িয়ে ভাগ্যগুণে বিশাল সোনার খনি পেয়ে গিয়েছিলেন দীর্ঘদেহী অভিনেতা গ্রেগরি পেক। আরাভ জুয়েলার্সের ঘটনায়ও ওই ছবির মত রোমাঞ্চের কাকতালীয় যোগ আছে।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ তারকা সাকিব আল হাসানসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান ব্যক্তি ওই দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। গত ১৫ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর থেকেই বিষয়টি ঝড় তুলেছে। না, শুধু চায়ের কাপে না, ঝড় তুলেছে দেশের সর্বস্তরে। গণমাধ্যমে, সামাজিকমাধ্যমে, পুলিশে, রাজনীতিতে এবং আরো কোথাও কোথাও। কয়েক দিন ধরেই এটি দেশের সচেতন মানুষের মধ্যে তো বটেই, সাধারণেরও কৌতূহলের কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

ঘটনার পর পরই কী করে যেন সামাজিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আরাভ জুয়েলার্সের মালিকের অতীত পরিচয়। বলা হয়, আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশে একটি খুনের মামলার আসামি। সেটিও যে সে খুন নয়, খোদ ডিবি পুলিশের এক পরিদর্শককে খুনের দায় তার কাঁধে। বস্তায় ভরে গাজীপুরের একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় মামুন নামের সেই পুলিশ পরিদর্শকের লাশ। সেই মামলার ফেরারি আসামি আরাভের নামও আবার একটি, দুটি নয়। তিনি প্রথমে ছিলেন সোহাগ মোল্লা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া গ্রামের মানুষ ওই নামেই তাকে চেনেন। এ ছাড়াও তিনি হৃদয় শেখ, মোল্লা আপন, শেখ হৃদি ইত্যাদি নানা নামে বিভিন্ন সময় নিজেকে পরিচিত করেছেন।

২০১৮ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান নিহত হন এই রবিউলের বনানীর ফ্ল্যাটে। সেটি ছিল রবিউলের ব্লাকমেলিং ব্যবসার অংশ। এর পর থেকেই তিনি দেশ ছাড়া। প্রথমে পালিয়ে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতার কাছে নরেন্দ্রপুরের বস্তিতে জনৈক জাকির খানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আরাভ ও তার স্ত্রী নাসরিন। জাকির খান ও তার স্ত্রী রেহানা বিবিকে বাবা-মা বলে ডাকতেন তারা। আর সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়েই জাকির ও রেহানার ভারতীয় আধার কার্ড চুরি করে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন রবিউল ওরফে আরাভ। পাসপোর্টে তাদের ঠিকানা, কন্দর্পপুর, উদয় সংঘ ক্লাব, রাজপুর-সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা-৭০০০৮৪। এরপর ওই পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই পাড়ি দেন। কন্দর্পপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা আরাভকে চিনতেন। বিএমডব্লিউ বাইক নিয়ে ঘুরতেন আরাভ। নিজেকে ফিল্ম আর্টিস্ট বলে পরিচয় দিতেন। কলকাতার বস্তিমতো জায়গায় বিএমডব্লিউর মতো দামি ব্র্যান্ডের বাইক চালাচ্ছেন এমন লোককে স্থানীয়রা চিনবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। পুরো ঘটনা তো যেকোনো থ্রিলার কাহিনীকেও হার মানায়।

বাংলাদেশের পুলিশ রবিউল ইসলামের এসব কাহিনীর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। গত কয়েক দিনের পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট সেটাই বলে। এখানেই রহস্য রোমাঞ্চের শেষ নয়। রবিউলের সাথে দেশের কত উচ্চপর্যায়ের প্রভাবশালীদের সম্পর্ক ছিল সেটিও অবিশ্বাস্য। একটি প্রধান দৈনিকের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, মামুন হত্যার ঘটনায় রবিউল ইসলামকে আটক করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কিন্তু আটকের তিন দিন পর তাঁকে গ্রেফতার না দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সূত্রে আরো জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের তৎকালীন এক প্রভাবশালী নেতা ও তখনকার একজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের অনুরোধে ডিবি তাকে ছেড়ে দেয়। (প্রথম আলো, ১৯.০৩. ২০২৩)

রবিউলের সাথে দহরম মহরম ছিল একজন চলচ্চিত্র প্রযোজকের। সম্পর্ক ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কিছু সদস্যেরও। মামুন হত্যা মামলায় যে আটজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন একটি বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। মামলার অভিযোগপত্রে তাদের নাম থাকলেও তারা কোন বাহিনীতে ছিলেন, তার উল্লেখ নেই।

ব্লাকমেলের অভিযোগে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে র‌্যাবের অভিযানে নায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসাসহ কয়েকজন গ্রেফতার হন। তার মধ্যে একজন চলচ্চিত্র প্রযোজকও ছিলেন। ওই প্রযোজক ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতাকে দিয়ে রবিউলকে ছেড়ে দেয়ার তদবির করান। সেই নেতার সুপারিশে তখনকার একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ডিবি থেকে রবিউলকে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসেছিলেন রবিউল। মজার ব্যাপার হলো, তার দেশে ফেরার খবর পুলিশের অজানা ছিল না। একটি দৈনিক খবর দিচ্ছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দেশে এলেও তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। কেন গ্রেফতার করা হলো না এমন প্রশ্নে ডিবির কর্মকর্তা কোনওরকম ‘মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’

অবিশ্বাস্য আরো একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন রবিউল। তার নামের অন্য এক ব্যক্তি পুলিশ খুনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাকে জেলে পাঠানো হয়। ৯ মাস জেল খাটার পর লোকটি বলেন, তিনি রবিউল নন, তার নাম আবু ইউসুফ। তিনি জানান, রবিউল তার পরিবারকে মাসে মাসে টাকা দেবেন, এমন শর্তে তিনি রবিউলের হয়ে জেল খাটছিলেন। এমন আয়নাবাজি কেবল ছায়াছবিতেই সম্ভব ভেবেছিলাম।

মনে হয়, এমন একটি কাহিনী জানলে ড্যান ব্রাউন হয়তো ‘ডিসেপশন পয়েন্ট’-এর মতো আরেকটি গল্প ফাঁদতে পারতেন যেখানে শেষ পর্যন্ত অপরাধ ও খুনোখুনির প্রধান নায়ক অথবা খলনায়ক হয়ে দেখা দেন খোদ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ব্যক্তিটি।

রবিউল তথা আরাভ খান পুলিশ খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। আবার তার সঙ্গে দেশের অনেক উচ্চস্তরের প্রভাবশালীর যোগাযোগের বিষয়টি উচ্চকণ্ঠে বলেন। দেশের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম ধরে বলছেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাঁর সম্পর্কে জানা যাবে। এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে। সেগুলো পুলিশের জানার বাইরে নয়। কিন্তু এদেশে আইন বিচার সবার জন্য সমান নয়। এমনকি অপরাধীর নাম বলাও নিষেধ। একজন বুদ্ধিজীবী আমাদের বাকস্বাধীনতা কতটুকু, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আরাভ খানের ঘটনার সূত্রে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘দেশে দিনের পর দিন ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। আর দিনমজুরের ছেলে সোনা দিয়ে লোগো বানায়। তাও মাত্র ৪-৫ বছরে। কী পরিমাণ টাকা লুটপাট? এটা কি তার টাকা? আমরা পুলিশের সাবেক একজন বড় কর্মকর্তার নাম শুনি। তার নাম আমরা নিতে পারছি না। ... এই বাকস্বাধীনতা আমাদের সংবিধানে বলা আছে?’

এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গত রোববার তিনি জানান, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান আসলে কে, তা জানার চেষ্টা চলছে। যাচাই করে দেখা হচ্ছে, আলোচিত আরাভ খানই পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার সেই আসামি কিনা। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে আইনের মুখোমুখি করা হবে। দুবাই থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

যেহেতু আরাভ খানের পরিচয় সম্পর্কেই মন্ত্রী নিশ্চিত নন, তাই আরাভের সঙ্গে কোনো সাবেক পুলিশ কর্তার নাম জড়ালে তা নিয়ে আপাতত মন্ত্রীর চিন্তার কিছু নেই। আরাভকে কিভাবে কার নির্দেশে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার না দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল, কেন গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার কথা জেনেও পুলিশ তাকে আটক করল না- এসব প্রশ্নও আপাতত মন্ত্রীর কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতেই পারে। আমরাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। আরাভ জুয়েলার্সের মালিকানার শেয়ার কতজনের, তাদের নাম-পরিচয় কী, সেটাও না হয় আরাভের পরিচয় নিশ্চিত হবার পরেই জানা যাবে। আমাদের ধৈর্যের তাতে কমতি পড়বে না। অনেক স্বজনের গুম খুনেরই তো থৈ পাওয়া যায়নি। আমরা ধৈর্য ধরেই আছি। আর আরাভের ঘটনা তেমন কোনো বিয়োগান্তক ঘটনাও না। যেমনটা শুরুতে বলেছি, একটা সুখ সুখ অনুভূতিই তো হচ্ছে, আমার দেশী ভাই দুবাইয়ের সোনার কেল্লায় (পড়ুন, বুরজ আল খলিফা) সোনার দোকান দিয়েছেন, ফ্ল্যাট কিনেছেন আকাশের কাছাকাছি (৬৫ তলায়), আরো কত কী! কাজেই ধৈর্য ধরতে আমাদের সমস্যা নেই।

তবে একটি ঘোষণা পাঠককে শুনিয়ে যাই। ঘোষণাটি এরকম, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে, ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নাই। ... ‘আমি আমার ল এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কখনোই সখ্য নয়।’

ঘোষণাটি যিনি দিয়েছেন তিনি কোনো গোপন জায়গা থেকে হাওয়ায় ছুড়ে দেননি। দিয়েছেন প্রকাশ্য মাঠে, সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে। ঘোষণাটি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের। আরাভ জুয়েলার্সের আরাভের সাথে তার সম্পর্কের কথা কোথাও উঠেছে কিনা, আমাদের অজানা। কেউ তো প্রকাশ্যে নাম উল্লেখ করেননি। তিনি নিজেই ব্যাখ্যা দিয়ে নিঃসন্দেহে সৎসাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এখন আমরা দাবি করতে পারি, অন্যায়ভাবে কেউ তাকে আরাভের সাথে জড়ানোর চেষ্টা করে থাকলে তদন্ত করে নিশ্চিত করা হোক। আরাভ বা রবিউল যে-ই হোক, তার সাথে বাংলাদেশের আর কারা সংশ্লিষ্ট সেটি জানতে পারলে দেশবাসীর মনে সুখানুভূতি কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে।
mujta42@gmail.com