Naya Diganta

আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি : নির্বাচন কমিশনার

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিদর্শনে এসে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক। আমরা ছয় শতাধিক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কোনো পক্ষপাতিত্ব করিনি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগও নেই।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে চাই। দলগুলোর সাথে বারবার সংলাপ করেছি। প্রয়োজনে আমরা আরো সংলাপ করব। একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে নির্বাচন ভারসাম্যপূর্ণ থাকে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা পর্বে পর্বে সংলাপ করেছি, এ চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। এতে কোনো কোনো দল এসেছে, আবার কোনো দল আসেনি। আমরা দলগুলোর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের কাজগুলো দেখেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেন, নির্বাচনে আসবেন কী আসবেন না?

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু সংঘর্ষ ও রক্তপাত হবে না। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। নির্বাচনের সাথে জড়িত সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যদের সবাই সহযোগিতা করলে নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করা সম্ভব।

এদিকে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দু’টি ও জীবননগর উপজেলার ছয়টিসহ মোট আট ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ও আইলহাস ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে ও জীবননগর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে ৫৪টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে আটটা থেকে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

এই নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছয় স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ছয়টি ম্যাজিস্ট্রেট টিম ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন রয়েছে।

সকাল থেকে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা তৎপর রয়েছে।