Naya Diganta

বনজঙ্গলের গল্প

বনজঙ্গলের গল্প।

সুইডেনের ৭০ শতাংশ ভূমি ঢেকে রেখেছে বন, যার আয়তন প্রায় ২৮ মিলিয়ন হেক্টর। এই পরিমাণের তেমন পরিবর্তন নেই। নানা দেশ নানা রকমের প্রাকৃতিক সম্পদ, সুইডেনের প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রদ আর বন। বনে শত প্রকারের গাছ। কোথাও কোথাও এমনো গাছ আছে, যে গাছের খবর ও রহস্য আজো জানে না বিশ্ববাসী। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস যা ফুরিয়ে যেতে শুরু করেছে এখনই। সুইডেনের প্রাকৃতিক সম্পদও কি একদিন ফুরিয়ে যাবে? এ নিয়েই সাজানো হয়েছে বনজঙ্গলের গল্প।

৭০ শতাংশ জঙ্গল থেকে যেসব কাঠ আসে সেসব কাঠের ৪০ শতাংশ আসে স্পরুস পাইন (Spruce pine), ৩৯ শতাংশ অপরাপর পাইন, ১৩ শতাংশ বার্চ আর ৮ শতাংশ আসে বিস্তৃত পাতার গাছ থেকে। মিশ্র বনের পরিমাণ ১২ শতাংশ এবং বিশুদ্ধ বিস্তৃত পাতার বন ৫ শতাংশ।

দূরপাল্লার যাত্রাকালেও রাস্তার দু’পাশে বন, বন আর বন। বনের ফাকে ফাঁকে দু’য়েকটি বাড়ি। বাড়িঘর, আসবাবপত্র এমনকি পাকা ঘরের ফ্লোরও কাঠের। বন সম্পর্কে তথ্যাদির খোঁজ করি। খোঁজ করি বিশ্বের লম্বা, মোটা ও বুড়ো গাছ সম্পর্কে। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাছ মালয়েশিয়ায়।

গাছটির উচ্চতা ৩২৮ ফুটেরও বেশি। বছর পাঁচেক আগে নটিংহাম বিশ্বদ্যালয়ের একটি দল বোর্নিও দ্বীপের বৃষ্টি অরণ্যে হলদে মেরানট্রি বলে পরিচিত গাছটি খুঁজে বের করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গাছটি ভালোভাবে শনাক্ত করতে থ্রিডি স্ক্যান ও ড্রোন নিয়ে যান। মালয়েশিয়ার সাবা এলাকায় সংরক্ষিত ডানাম ভ্যালিতে গাছটি খুঁজে পাওয়া যায়। (তথ্য : প্রথম আলো, ৭ এপ্রিল ২০১৯) আর মোটা গাছ রয়েছে মেক্সিকোতে। নাম তুলের গাছ। হাতে হাত রেখে মানব বেষ্টনী করতে অন্তত ৩০ জন মানুষ প্রয়োজন। বিশ্বের মোটা গাছ হিসেবে স্বীকৃত গাছটির বর্তমান পরিধি ৪২ মিটার। এবার আসছি বুড়ো গাছের পরিচয় নিয়ে। বুড়ো গাছটির বাড়ি সুইডেন। সুইডেনের এই গাছটির বয়স ৯ হাজার ৫৮০ বছর। যে দেশে যা বেশি সে দেশে তা নিয়ে গল্পও বেশি। শৈশবে শুনেছি, মানুষখেকো গাছের গল্প। ভয়ঙ্কর মানুষখেকো গাছের ছবিও দেখেছি। গাছটি ছিল আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপে। গাছের মাথাটি খেজুরগাছের মতো। খেজুর পাতার মতোই কাঁটাযুক্ত সুচালো পাতা। পাতাগুলো গাছের চারদিক নির্জীব ঝুলে থাকে। সজীব হয়ে ওঠে রক্তমাংসের গন্ধ পেলেই। মানুষসহ জীব-জানোয়ার ভুল করে গাছটির সংস্পর্শে এলে আর রক্ষা থাকে না, পাতাগুলো অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরে মুহূর্তেই হজম করে ফেলে। তখন কচি মগজে সত্যের মতোই প্রবেশ করেছিল গল্পটি।

তথ্যপ্রযুক্তিসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে ছোট হয়ে আসছে বিশ্ব। শিশুরা যা জানে আমরাও তা জানি না। বরেণ্য কবি সুফিয়া কামাল আজিকার শিশুর কাছে অনেক আগেই পরাজয় স্বীকার করে বলে গেছেন-
‘উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন পরী দেও দানা’

হাতের মুঠোর ছোট বিশ্বে অলৌকিক বলে কিছু নেই। রাক্ষস-খোক্কসের গল্পসহ ছোট্ট পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পরীর রাজ্যও। ভয়ঙ্কর মানুষখেকো গাছের গল্প বলতে গেলেই প্রতিবাদ করে। আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপে এ ধরনের কোনো গাছ নেই। চেজ ওজবোর্নের Madagascar, Land of the Man-eating Tree থেকে বানানো হয়েছে গল্পটি। কাল্পনিক গল্পের দিন শেষ।

শুরু হয়েছে মঙ্গলে যাওয়ার পাঁয়তারা। আলোর গতি ও মহাবিশ্বের বয়স থেকে শিশুরা নিমেষে বের করে ফেলে মহাবিশ্বের আয়তনও। তা করতে গিয়ে আধুনিক বিশ্বের এমন সব বিষয় সামনে চলে আসে যা রাক্ষস-খোক্কসের কাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি রোমান্টিক ও বিস্ময়কর। ২০০৪ সালে সুইডেনের ডালরনা প্রদেশের ফুলুফজেললেট পর্বতে একটি গাছ আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কার করেন লিফ কুলম্যান। কুলম্যান উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ভ‚গোলের অধ্যাপক। কার্বন-১৪ ডেটিং ব্যবহার করে তিনি গাছটির বয়স নির্ধারণ করেন। গাছটির বয়স ৯ হাজার ৫৭০ বছরেরও বেশি। অর্থাৎ গাছটির জন্ম হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ৭৫৫০। আবিষ্কারক তার প্রিয় কুকুরের নামে গাছটির নামকরণ করেন ‘ওল্ড টিজিকো’। গবেষকরা পাহাড়ে গাছের লাইন পরীক্ষার সময় স্প্রুস জাতীয় গাছটি আবিষ্কৃত হয়। উষ্ণ সময়ে স্প্রুস সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যখন ঠাণ্ডা হয় তখন তুষার দিয়ে সুরক্ষিত অবস্থায় বেঁচে থাকে। স্পুরুস শাখা থেকে নতুন শিকড় জন্মানোর মাধ্যমে পুনরুৎপাদিত হতে পারে, এভাবেই ওল্ড টিজিকো টিকে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।

একসময় পৃথিবীর প্রাচীনতম বৃক্ষ মনে করা হতো মেথুসেলাহকে (Methuseleh)। পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ার হোয়াইট মাউন্টেন্স অঞ্চলের ইনিও বনভূমিতে অবস্থিত মেথুসেলাহ। ২০১৩ সালে মেথুসেলাহর বয়স নির্ণয় করা হয়েছিল চার হাজার ৮৪৫ বছর। সব বয়সকে ছাড়িয়ে গেছে সুইডেনের ওল্ড টিজিকো। ছাড়িয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নাটকীয়ভাবে বরফ গলে যেদিন হ্রদ আর পাথর বের হতে শুরু করে সেদিন থেকে মানুষের অস্তিত্বসহ জন্মাতে শুরু করেছিল উদ্ভিদও। যেখানে আমাদের ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার সুন্দরবনের রহস্য ১৮ কোটি মানুষের কাছে আজো অজানা সেখানে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার সুইডেনের বনরহস্য এক কোটি মানুষের কাছে অজানা থাকারই কথা।

১৭ মে ২০২২ সুইডেনের ভক্সজো বিমান বন্দরে নেমে যখন মল্লিকার বাসায় যাই তখন গভীর রাত। রাতের আঁধারে রাস্তার দুই পাশে বনের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়নি। ঘুম ভাঙলে চার তলার বারান্দায় সামনেই দেখি জঙ্গল। জঙ্গলের নাম টেলিবোর্গ। জানতে পারি, এ জঙ্গলেও হরিণ আছে। মাঝে মধ্যে বের হয়ে আসে। জঙ্গল থেকে বের হলে দেখা যায় বারান্দা থেকেও। বারান্দায় বসে ছবি তুলেছিল, ক্যামেরা টেনে দেখাল হরিণের ছবিটিও।

আধুনিক মানুষের কাছ থেকে দিন দিনই হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি। বন্য হরিণ দর্শন দূরের কথা, চিড়িয়াখানা ছাড়া সারা দেশজুড়ে বন্য বিড়ালও খুঁজে পাওয়া যায় না। ২০১৬ সালে ডিসেম্বরের ছুটিতে হাইকোর্টের একদল আইনজীবীর সাথে বন্য হরিণ দেখার জন্য নিঝুম দ্বীপে গিয়েছিলাম। ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ পৌঁছতেই লেগেছিল এক রাত এক দিন। সাত দিন সকাল-সন্ধ্যা জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করেও বন্য হরিণের দেখা মেলেনি। আর এখানে বারান্দায় বসে বন্য হরিণ দর্শনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।

পাহাড় বন আর সাগর বারবার দেখেও দেখার সাধ মেটে না। আমাদের দেশের দক্ষিণে আছে পাহাড় বন ও সাগর। বহুবার গেছি দেখতে। কুমিল্লা পার হয়ে যখন ত্রিপুরার পাহাড় ও বন নজরে পড়তে শুরু করে তখনই চনমন করে ওঠে মন। লন্ডনেও জঙ্গল আছে তবে সুইডেনের জঙ্গলের তুলনায় অনেক কম ও অগভীর। নাঈম কাজে চলে যেতেই আমি আর মল্লিকা বের হয়ে পড়ি। মল্লিকার বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের পথ।
জঙ্গলের পাশে ছোট ছোট বাড়ি। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই বসার জন্য সবুজ ঘাসভর্তি উঠানসহ রয়েছে প্রাইভেটকার, শিশুদের জিম, কুকুর ও বিড়াল। কোথাও কোথাও বন্য পাখির বাসা বানিয়ে রাখাসহ পাত্রে খাবার রাখা হয়েছে। দোয়েল, ঘুঘু, শালিক, কাক ইত্যাদি চেনা-অচেনা পাখি এসে খেয়ে যায়। কিছু দূর যেতেই একটি শব্দ কানে আসে। শব্দ যেদিক থেকে আসছিল সেদিকে আঙুল তুলে-
-আব্বা দেখেন, রোবট কী সুন্দর করে ঘাস কাটছে।
বড় কাছিমের মতো বস্তুটি বাড়ির সারা আঙিনা ঘুরে ঘুরে ঘাস কাটছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোবটের ঘাস কাটা দেখাকালে-
-শুধু ঘাস কাটা নয়, রোবট ঘরবাড়িও পরিষ্কার করতে পারে। এ দেশে কাজের বুয়া নেই। কাজের বুয়ার কাজ রোবট করে দেয়। যে ঘর পরিষ্কার করবে সেই ঘরের নকশাসহ রিমোট টিপলেই রোবট নকশার ভেতর ঘুরে ঘুরে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করে দেয়।

১০টার দিকে বনে প্রবেশ করি। রাস্তা থেকে বনে প্রবেশের জন্য পায়ে চলার পথ রয়েছে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর সামনে সাইকেল রোড। সাইকেল রোড ধরে বাম দিকে কিছু দূর যেতেই অপর একটি প্রশস্ত রোড বনের ভেতরের দিকে গেছে। চৌরাস্তায় মোড়ে বসার বেঞ্চ। কাঠের মজবুত বেঞ্চে ইচ্ছে করলে আরাম করে ঘুমানোও চলবে। বেঞ্চে বিশ্রাম নিয়ে বাম দিকের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় শেষ প্রান্তে চলে আসি। যে অংশকে আমরা শেষ প্রান্ত মনে করছি সেটিই বনের শুরু, অর্থাৎ প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারের সামনেই বাম দিকে, LINNES ARBORETUM 2007 লেখা ফলক। ফলকটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মল্লিকা বলে-
-এই জঙ্গলের নাম টেলিবোর্গ। টেলিবোর্গ উদ্ভিদবিদ্যা শিক্ষা ও অনুশীলনের জন্য একটি পরিকল্পিত উদ্যান। আগের প্রাকৃতিক উদ্যানটি একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পরপর দু’টি ঘূর্ণিঝড় গুডরুনের (Gudrun) আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। সুইডেনের বিখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানী লিনিয়াসের নাম অনুসারে এখানে রয়েছে স্মাল্যান্ডের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়। টেলিবোর্গের কাছেই লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়টি। লিনিয়াসের ৩০০তম জন্মদিবসের স্মরণে এখানে লিনিয়াস নামে একটি আরবোরেটাম স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই উদ্দেশ্যে ভক্সজো পৌরসভা, সুইডিস ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সাইন্স কাজ শুরু করে। এখানে পাইন ও বার্চের সাথে প্রায় ১৫০টি বিদেশীসহ ভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয় যার মধ্যে ইউরোপীয়, ককেশীয় উইংনাইট, তুর্কি ওক ও সোনালি আজালিয়াও রয়েছে।

পরিকল্পিতভাবে বনায়ন ছাড়াও টেলিবোর্গ একটি দর্শনীয় পর্যটন স্পট। এখানে রয়েছে সাইকেল চলাসহ সুন্দর হাঁটা-চলার পথ, জগিং ট্রেইল, পিকনিকের স্থান, বারবিকিউ স্পট ইত্যাদি। বনের কেন্দ্রে রয়েছে জাপানি পর্বত চেরি, আমেরিকান লাল ও স্কারলেট ওক এবং ওয়েমাউথ পাইনের সারি। শত প্রকারের পাখির মধ্যে রয়েছে ইউরেশিয়ান নুথাচ, কাঠ কবুতর, রবিন, ইউরোপীয় সিস্কিন ও চিফচাফ। এক কথায় টেলিবোর্গ স্মাল্যান্ডের মধ্যে এটি প্রকৃতির মিলনমেলা। এক সাথে এত বিভিন্ন প্রকারের গাছ আর নানা রকম পাখি আর কোথাও দেখা যাবে না।
আমরা যখন হাঁটছিলাম তখন মাঝে মধ্যে দু’-একটি সাইকেল, মানুষ আর কুকুর ছাড়া পথ প্রায় নির্জন। কুকুর একা নয়, কুকুরের সাথে রয়েছে কুকুরের মালিক। পুরুষের চেয়ে মহিলা মালিকের সংখ্যাই বেশি। বিজন বনের পথে নির্ভয় ও অসঙ্কোচে হাঁটছে নানা বয়সের মহিলা। এই দেশ প্রতি বছর সুখ-শান্তির দেশের তালিকায় প্রথম ১০-এর মধ্যে থাকার কারণ আছে। প্রথম কারণ, যেসব বিষয়-আশয় নিয়ে অশান্তির উদ্ভব হয় সেসব বিষয় এখানে নেই বললেই চলে। রাস্তাঘাটে লোক নেই, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ নেই, হাঁটতে গেলে একজনের পায়ের উপর আরেকজনের পা লাগে না, বিরোধের প্রথম কারণই এসব নিয়ে। বনের বাম দিকের পথ ধরে হাঁটছি। ‘ডান-বাম ও সামনে পেছনে’ বলা ছাড়া দিকভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল সুইডেনের মাটিতে পা পড়তেই। আমাদের দেশে বিশেষ করে মুসলিম কান্ট্রিতে দিক চিহ্নিত করা যত সহজ, অমুসলিম কান্ট্রিতে দিক চিহ্নিত করা তত সহজ নয়। জমির দৈর্ঘ্য-প্রস্থসহ বাড়িঘর উত্তোলন করা হয় পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে। এখানে এসব নিয়ম-নীতির বালাই নেই। কথোপকথনের মধ্যেই অনেকদূর চলে এসছি। ডানদিক দিয়ে একটি রাস্তা। রাস্তা দিয়ে আবার জঙ্গলে প্রবেশ করি। জঙ্গলে গাছের ফাঁকে ফাঁকে কখনো কখনো গাছের গোড়ায় পাথর মাথা বের করে রেখেছে। এক স্থানে দেখি, গোটা গাছটিই পাথরের ওপর। যে পাথরে রসকষ নেই, সেই কঠিন পাথর ভেদ করে বীজটি অঙ্কুরোদগম হলো কী করে?
-অঙ্কুরোদগমের সময় পাথরটি হয়তো স্যাঁতস্যাঁতে ছিল। চেয়ে দেখুন, মূল কাণ্ড পাথরের ওপর বসে থাকলেও শিকড়গুলো অক্টোপাসের মতো পাথরকে জড়িয়ে ভ‚মিতে প্রবেশ করেছে। গাছ বীজ থেকে বের হওয়ার পর প্রথম প্রয়োজন পানি। বীজ থেকে প্রথম অঙ্কুরিত চারাটি প্রথম প্রয়োজন মেটালো কী করে? (‘ইউরোপের চার দেশ’, ১৩১ থেকে ১৪০ পৃষ্ঠা)

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : adv.zainulabedin@gmail.com