Naya Diganta

ইসরাইলের সাহায্য সিরিয়ার প্রত্যাখ্যান

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনুরোধ পাওয়ার পর ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন বলে যে দাবি করেছেন, দামেস্কের একজন কর্মকর্তা তা অস্বীকার করেছেন। নেতানিয়াহু তার লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতাদের বলেন, ইসরাইল সিরিয়ায় মানবিক সহায়তার জন্য কূটনৈতিক উৎস থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছিল এবং আমি তা অনুমোদন করেছিলাম। সাহায্য শিগগিরই পাঠানো হবে।
কিন্তু সিরিয়ার একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, দামেস্ক ইসরাইলের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করার বিষয়ে যেটি বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। সিরিয়া কিভাবে এমন একটি সত্তার কাছে সাহায্য চাইতে পারে যেটি কয়েক দশক ধরে সিরিয়ানদের হত্যা করেছে?
সিরিয়ার সরকার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় না এবং ১৯৪৮ সালে ইসরাইল সৃষ্টির পর থেকে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তারা। নেতানিয়াহুর কার্যালয় সিরিয়াকে সাহায্য করার অনুরোধের উৎস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছে। ইসরাইলি নেতা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কেও দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিশেষজ্ঞদের কয়েকটি দল তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হবে। রাশিয়া, আরব আমিরাত, জর্দান, কাতারসহ অনেক দেশ সিরিয়া এবং তুরস্কের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় সিরিয়ার উদ্ধারকাজ ব্যাহত
এ দিকে আলবাওয়াবা জানায়, সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে যেখানে সারা বিশ্ব তুরস্ককে সাহায্য দিচ্ছে সেখানে সিরিয়ার গল্পটা ভিন্ন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ভূমিকম্প ও আফটার শকের কারণে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। কিন্তু সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর দেয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে পর্যাপ্ত সাহায্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সিরিয়ান সাংবাদিক সারাহ সালাউম তিসরিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলেছেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন প্রদেশে প্রচুর ওষুধ, কর্মী ও উদ্ধার সরঞ্জাম দরকার হচ্ছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে এসব সহায়তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সিরিয়া এবং তুরস্কে যতবেশি ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে তত বেশি নিহত ও আহত লোকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৭১১ জন নিহত ও ১৪৩১ জন আহত হয়েছে।