Naya Diganta

চট্টগ্রামকে ১১৮ রানেই বেঁধে ফেললো ঢাকা

চট্টগ্রামকে ১১৮ রানেই বেঁধে ফেললো ঢাকা।

ব্যাটসম্যানের সংখ্যা বাড়িয়েও ব্যাটিং ধস রুখতে পারলো না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এক আরাফাত সানির কাছেই ভেঙে গেছে তাদের কোমড়। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে কোনো রকমে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারলেও সংগ্রহ করতে পারেনি বল সমান রানও। ৮ উইকেটে ১১৮ রানেই থেমেছে চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। ৪ উইকেট শিকার করেন ঢাকা ডমিনেটর্সের আরাফাত সানি একাই।

বিপিএলের আজকের ম্যাচের জন্য একাদশে একাধিক ব্যাটসম্যান নিয়ে বেশ সাহসী ছিল চট্টগ্রাম। ফলে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি ঢাকার অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে মাঠের বাইরের সাহস মাঠে দেখাতে পারেনি চট্টগ্রাম। যার প্রমাণ মেহেদী মারুফ, ওপেন করতে নেমে ২১ বলে ৮ রান করে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি। মারুফের আগেই অবশ্য ফিরেন ইরফান শুক্কুর। ৯ বলে ৭ করে সানির প্রথম শিকার তিনি।

মারুফ ফেরার ২ বল পরেই ফিরেন উন্মুক্ত চাঁদ। বিপিএলে চাঁদ যেন মেঘেই ঢাকা ছিল। আজ ফিরেছেন ৩ বলে ০ রানে। ৪ ইনিংসে ৯.২৫ গড়ে মোটে ৩৭ রান তার ঝুলিতে। স্ট্রাইক রেট ভয়াবহ, ৭৮.৭২ মাত্র! এদিন দাঁড়াতে পারেননি আফিফ হোসেনও, সানির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন ৩ বলে ১ রানে। ১ রান করে সানির শিকার হয়েছেন শুভাগত হোমও। দলীয় রান তখন ৭ ওভারে ২৮ রান, নেই ৫ উইকেট।

সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন উসমান খান ও কার্টিস ক্যাম্ফার। ৪০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে তুলেন দু’জনে। ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আমির হামজা, ১১ রান আসে তার ব্যাটে। পরের ওভারেই সানির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন উসমান, আউট হবার আগে খেলেন ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস। দ্রুত দরবেশ রাসুলিকে হারালে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬.১ ওভারে ৮ উইকেটে ৮০ রান।

ফলে মনে হচ্ছিল অলআউট হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তখন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন জিয়া। মৃত্যুঞ্জয়কে সাথে নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৬ বলে ৩৮ রান। যেখানে ১৫ বলে ৩০ রানই তার অবদান। সব মিলিয়ে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ২০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়া।

মিরপুরের এ ম্যাচে সানির ৪ উইকেট ছাড়া একটি করে উইকেট পান আলামিন হোসেন ও আমির হামজা।