Naya Diganta

রাশিয়ার জাহাজ ফিরিয়ে দেয়া বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূল নয় : রাশিয়ার পররাষ্ট্র দফতর

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা জাহাজ ‘উরসা মেজর’কে ফিরিয়ে দেয়া বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূল হয়নি বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দফতর।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার এই জাহাজটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ‘স্পার্টা-৩’ নামে জাহাজটির নাম ও রং পাল্টে মংলা বন্দরে পণ্য পাঠানোর চেষ্টার তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জাহাজটি মংলা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি। পরবর্তী সময়ে সরকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেয়ার নির্দেশনা জারি করে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমেরিকানদের শর্তের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ মংলা বন্দরে জাহাজটি প্রবেশের পূর্ববর্তী অনুমতি বাতিল করেছিল। এ ঘটনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির একটি চালানের সরবরাহ এক মাসের বেশি সময় পিছিয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে হয়নি।
নিরপেক্ষ দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য করছে বলে অভিযোগ তুলে মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে আসা উরসা মেজর জাহাজটি মংলা বন্দরে ভিড়তে না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার পক্ষে টানতে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ দেশের জনগণ ও রাজনীতিকদের ওপর হুমকি ও ব্ল্যাকমেইলের আশ্রয় নিয়ে থাকে। সবক্ষেত্রে আমাদের অংশীদাররা এই নির্জলা ব্ল্যাকমেইল প্রতিহত করতে পারছেন না। তার সুনির্দিষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে রাশিয়ার জাহাজ উরসা মেজর মংলা বন্দরে ভিড়তে না দেয়া।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিতে তৃতীয় দেশকে বাধ্য করার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে আইনবহির্ভূত এবং এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
রুশ জাহাজ ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জাহাজে পণ্য পাঠানোয় আমরা অবাক হয়েছি। এটা আমরা আশা করিনি। রাশিয়ার শত শত জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এগুলো ছাড়া যে কোনোটাতে তারা মালামাল পাঠাতে পারত।