Naya Diganta

সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে : আমীর খসরু


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। তারা এখন ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপানো হয়েছে। তারা দেশ কিভাবে চালাচ্ছে, এটা মানুষের জানা দরকার।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু আরো বলেন, এক দিকে সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে, অন্য দিকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। টাকার অভাবে এলসি খুলতে পারছে না, ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। পুরো বিষয়টি হচ্ছে, একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, যাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অবৈধ ও দখলদার সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতা দখল করে তারা অব্যাহতভাবে থাকতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এখানে একটি সহিংসতা। তারা বিরোধী দলে থাকতে আগুন-সন্ত্রাস করেছে, সরকারি দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, আবার এখন আগুন-সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এরা চাচ্ছে একটি সহিংসতা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার যে একটি প্রক্রিয়া, ভোট চুরি করার প্রক্রিয়া রয়েছে এটাকে তারা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সহিংসতা চায় না। তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর।


আমীর খসরু বলেন, প্রথম ধাপের আন্দোলনে সকল বাধাবিপত্তি, মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরও আমরা সফল হয়েছি। তারা (সরকার) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে, তত বেশি তারা শক্তির কথা বলছে, তত বেশি তারা সহিংসতার কথা বলছে। তারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে, তারা আগুন-সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এতেই প্রমাণ করে, জনগণের সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কাছে কোনো কিছুই দাঁড়াতে পারে না।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস করছে না, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বিদায় দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দখলদার সরকারকে বিদায় করবে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চায়। এই মডেলের বিপরীতে অন্য কোনো মডেলে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিদেশী গণতান্ত্রিক দেশের কাছে একটি মাত্র মডেল, সেটি হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এর বিপরীতে অন্য কোনো সুযোগ নেই।
আমীর খসরু আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি কে হলো, এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে।