Naya Diganta

শীতের পাখিদের কলরবে মুখর তুলাসার বাঁওড়

শরীয়তপুরে তুলসার বাঁওড়ে অতিথি পাখিদের বিচরণ : নয়া দিগন্ত

শীতের অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর শরীয়তপুরের তুলাসার বাঁওড়সহ জেলার কমপক্ষে ২০টি জলাশয়। এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমন আকর্ষণীয়। শীত এলেই সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান দেশ থেকে আসা হাজার হাহাজ রঙ-বেরঙের পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে শরীয়তপুরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে মাত্র ১০০ মিটার পশ্চিমের এই বাঁওড়। পাখিদের ডুবসাঁতার আবার ঝাঁক বেঁধে মুক্ত নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো বাঁওড় ঘেরা সড়কপথের মানুষকে শুধু আকৃষ্টই করে না, করে বিমোহিতও। এই মনভোলানো দৃশ্য পাখিপ্রেমীরা গাড়ি থামিয়ে প্রাণ ভরে উপভোগ করেন।
জানা গেছে, শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে শীতের সাথে সাথে প্রায় ২৫ প্রজাতির লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে তুলাসার বাঁওড়ে। পাখিদের বাহারি সৌন্দর্যে মন ভরে যায় স্থানীয় দর্শনার্থীসহ প্রকৃতিপ্রেমীদের। এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে প্রায় ১২ একর আয়তনের তুলাসারের বাঁওড়।
পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করে তাদের অবস্থান নিরাপদ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। তিনি বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় পরিবেশ সহায়ক আবহাওয়া বজায় রাখতে পরিযায়ী পাখি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা তুলাসার বাঁওড়সহ জেলার অন্তত ২০টি স্থানে এসে অবস্থান নেয়। পাখিমুখর এ পরিবেশ জেলাবাসীকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও এনে দেয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় প্রশান্তি।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, শীতের সাথে সাথে জেলার বাঁওড় ও জলাশয়গুলোতে পরিযায়ী পাখিরা এসে আমাদের পরিবেশ প্রতিবেশকে করে তোলে সমৃদ্ধ। তাই পরিযায়ী পাখির আনাগোনা ও অবস্থান নিরাপদ রাখতে সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
সদর উপজেলার তুলাসার গ্রামের হোসেন সরদার বলেন, শীতের শুরু থেকেই তুলাসার বাঁওড়ে হরেক রকমের পাখি এলেও পৌষ ও মাঘ মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক পাখি আসে। সকাল-বিকেল পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে আশপাশের মানুষসহ অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। কিছু অসাধু শিকারির অপতৎপরতা থাকলেও এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সকলে মিলেই এই অতিথিদের রক্ষায় কাজ করছি।