Naya Diganta

‘ছাত্রশিবির জাতির প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে’

৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর পশ্চিম শাখার র‌্যালি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আজ জাতীর প্রত্যাশার কেন্দ্রীয় বিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলেছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যেগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সকাল ৮টায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে এ র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

র‌্যালিতে নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর। শুভ শুভ শুভদিন, আজ শিবিরের জন্ম দিন। ছাত্রশিবির দিচ্ছে ডাক, ছাত্র সমাজ জাগরে জাগ। আয়রে নবীন শিবির করি, সুন্দর একটা জীবন গড়ি। শিবিরের অপর নাম, আদর্শের সংগ্রাম। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, শিবির আছে দেশ জুড়িয়া। এই শতাব্দীরর শ্রেষ্ঠ বীর, ইসলামী ছাত্রশিবির। আয়রে নবীন দলে দলে, শিবিরের পতাকা তলে। আমার নেতা তোমার নেতা, বিশ্ব নবী মোস্তফা। আল কুরআনের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো। আল হাদিসের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো। ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সফল হউক, স্বার্থক হউক'সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, একটি ঐতিহাসিক পেক্ষাপটে দেশ গঠনের জন্য সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি, নেতৃত্ব বিকাশ এবং ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পথযাত্রা শুরু করে। হাটিহাটি পা পা করে ৪৬তম বছর পেরিয়ে এই কাফেলাটি আজ জাতীর প্রত্যাশার কেন্দ্রীয় বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির দেশ এবং জাতীর জন্য, ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আজ ৪৭তম বছরে পদার্পণ করেছে। ১৫ বছর যাবৎ আমাদের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে এই অবোধ্য সরকার। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দেয়ার দাবি করেন এবং সাধারণ ছাত্রদের শিবিরের সাথে যোগ দেয়ার আহ্বান করেন।

সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, বাকশাল পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে ছাত্রশিবির যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রালগ্ন থেকেই ইসলামী ছাত্রশিবিরকে থামিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এপর্যন্ত ছাত্রশিবিরের ২৩৪জন ভাইকে শহীদ করে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির তারপরও থেমে যায়নি।

তিনি কবি মোশাররফ হোসেন খানের ভাষায় বলেন, ‘রক্ত-পাথারে ভেসেছি কত, জীবনের কথা ভাবিনি। এসেছে ঝড়-ঝঞ্ঝা বজ্র বৃষ্টি তবুও আমরা থামিনি।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ সমাবেশে তিনি সরকারের কাছে ২০২৩ সালের শিক্ষাক্রমকে বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, ভিনদেশী সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ শিক্ষাক্রম বাতিল করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম দিতে হবে। সংস্কৃতির নতুন ধারা তৈরি করতে হবে।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রশিবির যাত্রা শুরু করেছিল। সেই থেকে ৪৬ বছরে পথচলা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ইসলামী ছাত্রশিবির রেখেছে যুগান্তকারী ভূমিকা। দেশবাসীর অকৃত্রিম ভালবাসা ও সহযোগিতায় ছাত্রশিবির আজ ছাত্র-জনতার ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সেক্রেটারিসহ প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি