Naya Diganta

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন, ষষ্ঠ বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন, ষষ্ঠ বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গ শাখায় আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। রোববার কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান। এই নিয়ে ষষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে।

বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। দলের দুই এমপিও জয়ী হয়েছিলেন বিধায়ক পদে। তারা অবশ্য পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। ওই দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জয় পায় তৃণমূল। বর্তমানে বিধানসভায় খাতায়কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ হলেও, ৬ জন বিধায়কের দলবদলে কার্যত এই সংখ্যা ৬৯-এ নামল।

২০২১ সালে রাজ্যজুড়ে জয় পেলেও আলিপুদুয়ার জেলায় একটি আসনেও জিততে পারেনি তৃণমূল। ওই জেলার পাঁচটি আসনেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই জেলাতেও পদ্ম শিবিরে ভাঙন ধরাল শাসকদল।

পেশায় সাংবাদিক সুমন রাজনীতিতে যোগদান করেন ২০২০ সালে। আলিপুরদুয়ার আসনে প্রথমে অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। পরে ওই আসনে প্রার্থী করা হয় সুমনকে। অশোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাটে। ওই সুমনই এবার নাম লেখালেন জোড়াফুল শিবিরে।

বিধায়কের দলবদল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত তিন দিন ধরেই সুমন কলকাতায় ছিলেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া আর এক বিধায়কের মধ্যস্থতায় তিনি দলবদল করেছেন। তবে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, বিধায়কের দলবদলে বিজেপি রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারাবে না।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুকুল রায় যোগ দেন তৃণমূলে। তার পর একে একে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের সকলের বিরুদ্ধে স্পিকার বিমান ব্যানার্জির কাছে বিধায়কপদ খারিজের আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কয়েকটি বিষয় নিয়ে আবার আদালতেও গেছেন তিনি। এখনো ওইসব বিষয়বিচারাধীন রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা