Naya Diganta

ড্রতে অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

ভারতের বিপক্ষে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড রিপা : বাফুফে

জিতলেই ফাইনালে। এই ছিল গতকাল বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচের সমীকরণ। কিন্তু দুই দলের কেউই জিততে পারেনি। তাই তাদের ফাইনালে খেলতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আগামীকালকের লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। তবে ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের উল্লাস আর বাংলাদেশ দলের হতাশ হয়ে বসে থাকাই বলে দিচ্ছিল গোল শূন্য ড্রতে খুশি ভারত। দুই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট এই দুই দলের। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে প্রতিবেশী দেশটি। ৯ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে খেলতে হলে বাংলাদেশকে এখন ড্র করতে হবে আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের বিপক্ষে। আর ভারতেরও ড্র দরকার নেপালের সাথে। অন্য দিকে ফাইনাল খেলতে জয়ের বিকল্প নেই নেপালি মেয়েদের।
নেপালের বিপক্ষে খেলা একাদশেই আস্থা রাখেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। মাথায় চোট পাওয়া অধিনায়ক শামসুন্নাহারও খেলেন প্রথম মিনিট থেকে। বাংলাদেশ দল লব নির্ভর অ্যাটাকে খেলে। এটা ভালো করেই জানেন ভারতের কোচ ময়মল রকি। তাই তার কৌশলে এই কাজে আকলিকা খাতুন ও ছোট শামসুন্নাহাররা সুবিধাই করতে পারছিল না। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কড়া মার্কিংয়ে বারবার অফসাইডে পড়ছিল ছোটন বাহিনীর ফরোয়ার্ডরা। অন্য দিকে ভারত শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। ম্যাচে গোলের সুযোগগুলো অতিথি দলটিই পাচ্ছিল। তবে গত বছর সিনিয়র সাফের সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমার দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে লিড নিতে পারেনি ভারত। ৭ মিনিটে সুমিতা কুমারী একা পেয়ে যান রুপনাকে। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ প্রহরীর ঠিক কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ১২৩ মিনিটের সেই সেভের মতোই বল আটকে দেন উরু দিয়ে। ১৪ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে সুমিতা মুন্ডার ফ্লিস হেডেও বাধা রুপনা।
ছোটন বাহিনী এই দুই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে পাল্টা আক্রমণে যায়। এতে গোলের হাফ চান্স তৈরি হয় ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে। স্বপ্না রানীর কর্নারে ডিফেন্ডার সুরমা জান্নাতের ভলি বার উঁচিয়ে যায়। এর আগে ২৬ মিনিটে স্বপ্না রানীর শট ভারতীয় কিপার আনিশকার হাত ফসকে কর্নার হয়। এই অর্ধে ভারত একটি গোল করলেও রেফারি তা বাতিল করেন অফসাইডের কারণে।
বিরতির পর অবশ্য সেভাবে দাপট নিয়ে খেলতে পারেনি ভারত। যদিও ৬২ মিনিটে সাইলজার শট বার উঁচিয়ে যাওয়ায় গোল পায়নি। বাংলাদেশ ৭৮ মিনিটে গোল পায়নি শামসুন্নাহারের শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ ছোট বলেন, ‘ভারতীয় দলে বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলার আছে। এদের সাথে আমরা সমান তালে পাল্লা দিয়েই খেলেছি। তবে আমাদের গোল প্রচেষ্টা সফল হয়নি।’ ভারতের কোচ ময়মল রকি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি গোল মিস করেছি। ম্যাচ ড্র হলেও আমি দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’