Naya Diganta

আইএমএফের ঋণ নিয়ে সুখবর দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

দেউলিয়া অবস্থার মধ্যেই শ্রীলঙ্কায় গত শনিবার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে তাদের উদ্ধারে অন্যতম ভরসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। নানা শর্তের কারণে এই ঋণ পেতে দেরি হচ্ছে। অবশেষে সুখবর পেতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
ঋণ সঙ্কটে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেইল আউট চেয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করা হচ্ছে। শিগগিরই ২৯০ কোটি ডলারের ঋণ বা বেইল আউট পাওয়া যাবে। শনিবার শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘আমরা সফলতার সাথে কঠিন ধাপগুলো অতিক্রম করেছি। ফলে শিগগিরই তাদের ঋণ অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’
স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এখন সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখে আছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে তারা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার মোট জাতীয় ঋণ জিডিপির ১১০ শতাংশের মতো (যা নিরাপদ সীমার প্রায় দ্বিগুণ)। আইএমএফ বলেছিল, শ্রীলঙ্কার দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতারা যদি তাদের ঋণ পুনর্গঠন করে, তাহলে দ্রুত ঋণ ছাড় করা হবে। গত মাসে ভারত এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এরপর দ্রুত বরফ গলতে শুরু করে।
দেশটির অনেক বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মযাজক রাজধানীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অনেক মানবাধিকার কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকও তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপনকে অর্থের অপচয় হিসেবে অভিহিত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, সমালোচনা সত্ত্বেও সশস্ত্র সৈন্যরা কলম্বোর প্রধান এসপ্ল্যানেড বরাবর প্যারেড করে, নৌবাহিনীর জাহাজ সমুদ্রে যাত্রা করার সময় ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করে এবং হেলিকপ্টার ও বিমানগুলো শহর প্রদক্ষিণ করে।
ক্যাথলিক ধর্মযাজক রেভ. সিরিল গামিনি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতার স্মরণে এই বছরের অনুষ্ঠানকে একটি ‘অপরাধ ও অপচয়’- বলে অভিহিত করেছেন, দেশ যখন এমন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যদিয়ে হচ্ছে।