Naya Diganta

‘হিমশীতল ঠান্ডায় আমরা মরেই যাব’

‘হিমশীতল ঠান্ডায় আমরা মরেই যাব’

প্রবল ঠান্ডা আর তুষারপাতে উত্তর লেবাননের হাজার হাজার সিরীয় উদ্বাস্তুদের জীবনযাত্রা আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এখনো সেখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে।

উত্তর লেবাননের শহর আরসালের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৮০ হাজার সিরীয় এবং শহরের উপকণ্ঠে আরো প্রায় ৪০ হাজার সিরীয় বসবাস করছে।

ভারী তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাতের মধ্যে দেশটিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আঘাত হানার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ক্যাম্পে তাদের জীবনযাত্রা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে।

ফাতিমা নামে ওই শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দা (৫৩) হিমশীতল আবহাওয়ার মধ্যে সাহায্যের জন্য আবেদন করছিলেন।

চার সন্তানের এই জননী বলেন, ‘এই হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে আমরা মারাই যাব।’ ‘আমাদের তাঁবুর ছাদে এক মিটার পুরু তুষার জমে আছে। তা আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে।’

তিনি আরো বলেন, তুষার ঝড়ের কারণে তাকে তার বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে হয়েছিল।

ত্রাণকর্মীরা সতর্ক করে দিয়েছে, উদ্বাস্তুরা বাস্তবিকই মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গেছে, কম্বল এবং গরম করার জ্বালানি ঘাটতির কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে তারা।

লেবাননে প্রায় দেড় মিলিয়ন সিরীয় উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে ৯ লাখ জাতিসঙ্ঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) তালিকাভূক্ত।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লেবাননের অভ্যন্তরে সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৩৬১টি ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তুষারপাত ও বরফ শীতল তাপমাত্রার মধ্যে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। সীমান্ত শহর আর্মালের উদ্বাস্তু শিবিরও বরফে ঢেকে গেছে।

২০১৯ সাল থেকে লেবানন একটি পঙ্গু অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত। বিশ্বব্যাংকের মতে, আধুনিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে দেশটি।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক