Naya Diganta
শপথ নিয়েই রংপুরে মেয়র মোস্তফা

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মহানগরীর উন্নয়নে চাহিদা অনুযায়ী ফান্ডিং করবেন

শপথ নিয়েই রংপুরে মেয়র মোস্তফা
শপথ গ্রহণ শেষে এলাকায় এসে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা : নয়া দিগন্ত

শপথ শেষে রংপুরে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে রংপুর সিটির দ্বিতীয় মেয়াদের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর মহানগরীর বৈপ্লবিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফান্ডিং করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের সামনে এই দাবি করেন তিনি। গত ২৭ ডিসেম্বর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন মোস্তফা। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ সাত মেয়র প্রার্থী হারান জামানত। গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে শপথবাক্য পাঠ করান মেয়রকে। শপথ শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সড়ক পথে রংপুরের দমদমায় পৌঁছলে সেখানে নগরবাসী উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও নগরবাসী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে তাকে নগর ভবনে নিয়ে যান। এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আহ্বায়ক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর সিনিয়র সহসভাপতি লোকমানে হোসেন, সিনিয়র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, মেয়র কন্যা জারিন তাসনিম প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মেয়র মোস্তফাকে ফুল ও মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। নগরভবনে পৌঁছলে সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী রুহুল আমীনের নেতৃত্বে কর্মচারীরা। ১৯ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। উষ্ণ অভ্যর্থনায় নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মোস্তফা।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যে দলেরই হোক না কেন, তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফান্ড দেবেন। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিমান্ড অনুযায়ী ফান্ডিং করবেন। যা দিয়ে রংপুরের উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটনার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরের চেয়ে আরো বেশি দায়িত্বশীল ও সততার মাধ্যমে আমি সিটি পরিচালনা করব। আমার দরজা খোলা থাকবে সব সময়। যে কেউ যেকোনো সময় আমার কাছে এক্সেস পাবেন। তবে আনডিউ কোনো এ্যাডভানটেস আমি কাউকেই দেবো না। নিয়মের মধ্যে থেকে দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন পরিচালনায় আমি আগের মতোই জিরো টলারেন্সে থাকব।