Naya Diganta

উচ্চ আদালতে যেতে নির্বাচন অফিসে হিরো আলম

জেলা নির্বাচন অফিসে হিরো আলম।

বগুড়া-৪ আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে যেতে কাগজপত্রের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের অফিসে বগুড়া-৪ আসনের নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফল নিতে যান তিনি।

এ সময় একতারা প্রতীকের এ প্রার্থী বলেন, ‘এই সরকারের সময় সুষ্ঠু ভোট আশা করা যায় না। ফলাফল বাতিলে উচ্চ আদালতে যাবেন, সেই কারণে কাগজ নিতে এসেছেন।’

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান কাগজ সরবরাহ করার আগে হিরো আলমকে বলেন, ‘গেজেট হওয়ার এক মাসের মধ্যে আপনাকে নির্বাচন ট্রাইবুনালে যেতে হবে। আগেই উচ্চ আদালতে যাওয়া যাবে না।’

এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘আমি বিজয়ী, আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। ভোটাররাও এটা মেনে নিতে পারছে না।’

ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে হিরো আলম বলেন, ‘মারবে এক জায়গায়, যাবে অন্য জায়গায়। ইভিএমও সঠিক নয়।’

শুধু বগুড়া-৪ আসন নিয়ে চ্যালেঞ্জে গেলেও হিরো আলম বলেন, ‘বগুড়া-৬ আসনেও ভোট সঠিক হয়নি। সঠিক ভোট হলে আওয়ামী লীগ জীবনেও বগুড়ার এই আসনে জিততে পারবে না। সদরে অনেক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি।’

হিরো আলম বলেন, ‘আসলে আমাকে একটি মহল মেনে নিতে পারছে না। কারণ, আমি দেখতে সুন্দর না, চেহারা ভালো না, লেখাপড়া কম। আমি সংসদে গেলে নাকি ইজ্জত যাবে। এ কারণে এবার নিয়ে দুইবার আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনতে হয়েছে।’

হিরো আলম প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘শিক্ষিতরাও মানুষ, আমিও মানুষ। আমার মতো লোকদের হেয় করবে এটা কোন শিক্ষা? যদি আমার মতো মানুষ সংসদে গেলে লজ্জা হয় কিছু লোকের, তাহলে আইন করে বাতিল করা হোক আমাদের মতো মানুষ যেন ভোটে না দাঁড়াতে পারে।’

এক শতাংশ ভোটের আইন নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি যে ভোট পেয়েছি তা আমার দেয়া এক শতাংশ ভোটের চেয়ে বেশি। তাহলে এ বিধানের অর্থ কি দাঁড়ালো? এটা বাতিল করা জরুরি।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে আওয়ামী লীগ, জাসদ, প্রশাসন সবাই হারিয়ে দিয়েছে। কারণ, ফলাফল ঘোষণার আগে নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মশাল জিতেছে, শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। আর জাসদের তানসেন ফলাফল ঘোষণার আগেই ফুলের মালা পরে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।’