Naya Diganta

ফুলপুরে স্লুইস গেট অকার্যকর ১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক

ফুলপুরে খড়িয়া নদীতে নির্মিত সংযোগবাঁধবিহীন স্লুইস গেট : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার খড়িয়া নদীর মাঝখানে স্লুইসগেট নির্মাণ করে দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ না করে ফেলে রাখা হয়েছে ১০ বছর ধরে। উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোটশুনই গ্রামের খড়িয়া নদীতে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এ স্লুইসগেট।
জানা যায়, উপজেলার ছোটশুনই, বড়শুনই, ভাইটকান্দি, গুপ্তেরগাঁও, রামভদ্রপুর ও শ্যামপুরসহ নিচু এলাকার বেশির ভাগ গ্রামই সামান্য বর্ষায় তলিয়ে যায়। ভরা বর্ষায় পানিতে তলিয়ে এলাকার বাড়িঘর ও ক্ষেতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এ স্লুইসগেটটি নির্মিত হলেও দু’পাশ ভরাট না করায় এর কোনো সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
ফুলপুর প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুরে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুপারিশে জাইকার অর্থায়নে ২০১৩ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন আলী ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫২১ টাকায় এ স্লুইসগেট নির্র্মাণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর মধ্যস্থলে নির্মিত স্লুইসগেটটি অর্থহীনভাবে দাঁড়িয়ে আছে। দু’পাশে সংযোগবাঁধ না থাকায় বর্ষায় কোনো কাজেই আসছে না এটি। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও সংযোগবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে ছোটশুনই গ্রামের আলাল উদ্দিন বলেন, সারা বছর স্লুইসগেটটি বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা আটকে যায়। এতে দুই পাশের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি কচুরিপানায় ঢাকা পড়ে, যা শ্রমিক দিয়ে পরিষ্কার করতে প্রতি কাঠায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। একই কথা বলেন রঘুরামপুর গ্রামের কৃষক শামছুল হক ও ছোট শুনই গ্রামের মোজাম্মেল হক-সহ অনেকেই। এছাড়া অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, দু’পাশে মাটি ভরাট না হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ রয়েই গেছে। মাটি ভরাট করা হলে স্লুইসগেটটি এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে থাকত না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অপরিকল্পিত স্লুইসগেটটি জনসাধারণের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। শুধু শুধু সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।