Naya Diganta

বিপিএলে ইতিহাস গড়ে জয় কুমিল্লার

অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয় এক জয়। কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ইতিহাস গড়ে জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। খুলনা টাইগার্সের গড়া ২১০ রানের জবাবে প্রথমে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পরে ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লসের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিপিএলে ২১৩ রান করে ইতিহাস গড়ল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল খুলনার রান পাহাড়কে তাড়া করে ৭ উইকেটের জয় কুমিল্লার। বিপিএলে রান তাড়া করে জয়ের এটি রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৯/২০ আসরে ঢাকার ২০৫ রানকে তাড়া করে ২০৭ রান করে খুলনার জয়।
২১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট কুমিল্লার। প্রথমে লিটন দাস ৪ রানে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন। পরে দলীয় ২২ রানে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৫ রানে ফেরেন সাজঘরে। এরপরই রিজওয়ান ও চার্লসের ব্যাটিং তাণ্ডব উপভোগ করল সিলেট স্টেডিয়ামের দর্শকরা। দলীয় ১৪৪ রানে ৩৯ বলে ৭২ রান করে আউট হন রিজওয়ান। ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে। এবার চার্লসের ব্যাটিং শৈলী। চার্লস সেঞ্চুরি করেছেন, ছক্কা মেরে দলীয় ২১৩ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ৫৬ বলে ১০৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ বাউন্ডারির সাথে ছিল ১১টি বিশাল ছক্কা। ৯ ম্যাচে কুমিল্লার ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে অবস্থান। অপর দিকে খুলনার এটি ষষ্ঠ পরাজয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে খুলনা টাইগার্স। ২.৪ ওভারে দলীয় ১৩ রানেই ১ রানে মাহমুদুলকে হারায়। উইকেটে আসেন শাই হোপ। শুরু হয় খুলনার ব্যাটারদের তাণ্ডব। ১৯.১ ওভারে দলীয় ১৯৭ রানে আউট হন তামিম ইকবাল মূল্যবান ৯৫ রান করে। ইনিংসটি তিনি সাজান ৬১ বলে ১১টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে। এরপর পাকিস্তানের ব্যাটার আজম খান ৪ বল খেলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর ব্যাটসম্যান শাই হোপ ৫৫ বলে হার না মানা ৯১ রান করেন। ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৭টি বিশাল ছক্কার মার। খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২১০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স : ২১০/২ (তামিম ৯৫, শাই হোপ ৯১ অপ:, আজম খান ১২ অপ:; নাসিম ১/৩৪, মোসাদ্দেক ১/৪৮)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২১৩/৩ (রিজওয়ান ৭৩, চার্লস ১০৭ অপ:, খুশদিল ১২, মোসাদ্দেক ৪ অপ:; নাসুম ১/১৯, শফিকুল ১/৩৬, আমাদ বাট ১/৫২)।
ফল : কুমিল্লা ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : জনসন চার্লস (কুমিল্লা)।