Naya Diganta
দৈনিক নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর

‘অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হলেও পুলিশের পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ’

দৈনিক নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর
অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হলেও পুলিশের পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জে সুদি কারবারিদের চাপে অবরুদ্ধ একটি পরিবার শিরোনামে গত ২৯ জানুয়ারি দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রিন্ট ভার্সনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তি ধরে পুলিশ এলাকায় গিয়ে সংবাদের সত্যতা পাওয়ার পর ভুক্তভোগী অবরুদ্ধ পরিবারকে উদ্ধার করে পাশে দাড়ায়। মোকলেছার এবং তার পরিবারকে নানাভাবে সান্তানাও দেয় পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ এর একদিন পর ওই উদ্ধারকারী কর্মকর্তার পক্ষপাতমূলক কথা শুনে হতবাক এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মধ্য রাজিব চেংমারী গ্রামের মরহুম নজরুল ইসলামের ছেলে মোকলেছার রহমান এনজিও ও সুদি কারবারিদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে সুদিকারবারীদের থেকে ১২ লাখ টাকা। এই ১২ লাখ টাকা তার ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে নেয়া। এই টাকার প্রতি হাজারে সুদ ধার্জ করা হয় ৬০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা। ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওই টাকার সুদ দেয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর সাথে মূলধন পরিশোধ করা হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও সুদি কারবারিদের হিসাবের খাতায় এখনো ওই ১২ লাখ টাকা রয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী মোকলেছার রহমান জানায়, ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে দু‘জন পুলিশ আমার বাড়িতে আসে
। এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমার ঘটনার বিষয় শুনে পুলিশ আশ্বস্ত করেন, কোনো সুদিকারবারী আপনাকে আর কোনো কিছু বলতে পারবে না এবং কেউ কিছু বললে আমাকে সাথে সাথে ফোন দিবেন। আপনি পরিবারের জন্য রোজগারের ব্যবস্থা করেন। এই কথা বলার পরের দিন ওই এসআই নুর ইসলাম আমাকে থানায় ডেকে বলেন ছলচাতুরী, বাটপারি বাদ দিয়ে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করেন। আমার পরিশোধ করা টাকার অঙ্ক উনি শুনতে নারাজ। এখন সুদি কারবারিদের চেয়ে পুলিশই টাকার জন্য বেশি চাপ দিচ্ছে।

অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার করা এসআই নুর ইসলাম জানায়, সুদের টাকা নেয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেছে মোকলেছার। থানায় আগামীকাল উভয়পক্ষকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে।