Naya Diganta

জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ এই বছর ভারতের প্রেসিডেন্সির অধীনে গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি ২০) সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়াটাকে দেশের জন্য একটি ‘বড় সম্মান’ হিসেবে মনে করছে।

সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে (জি ২০ সম্মেলনে) আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমাদের দূরদর্শী হওয়া উচিত।’

তিনি আরো বলেন, আয়োজক দেশের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশ।

ভারত ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০-এর প্রেসিডেন্সি ধরে রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা এই বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

মোমেন জানান, সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) তার বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।

জি-২০ নেতারা ছাড়াও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাইদ হুসেইন খলিল এল-সিসি, মরিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি, ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান হাইথাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এদিকে, মোমেন ১-২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা তার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মাসুদ বিন মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।

গত বছরের ১ মে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কোয়াত্রা।

জি ২০ ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্সির অধীনে দুই দিনের প্রথম জি ২০ ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল আর্কিটেকচার ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ৩০ জানুয়ারি চণ্ডীগড়ে শুরু হয়েছিল।

গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি২০) ১৯টি দেশ যথা-আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে, ইউনাইটেড কিংডম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ে গঠিত।

জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ ও বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

সূত্র : ইউএনবি