Naya Diganta

আদাবরে সন্ত্রাসী গ্রুপ বিডিএসকের ৮ সদস্য গ্রেফতার

রাজধানী আদাবরের ছিনতাইসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং (বিডিএসকে) গ্যাংয়ের প্রধান হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়সহ আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত শনিবার রাতে র্যাব-৪ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ও ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিডিএসকে গ্রুপের লিডার শ্রীনাথ মন্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয় (২২), রবিন ইসলাম ওরফে এসএমসি রবিন (২০), মো: রাসেল ওরফে কালো রাসেল (২৫), আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন (২১), নোমান ওরফে ঘাড় ত্যাড়া নোমান (২১), আশিক ওরফে হিরো আশিক (১৯), জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের (১৯) ও সুমন ওরফে বাইট্টা সুমন (২০)। তাদের দেয়া তথ্য মতে, মোহাম্মদপুরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, দু’টি চাপাতি, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি চাকু (বড় ও ছোট), দুটি হাঁসুয়া, একটি কাঁচি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় একজনকে কুপিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। এর কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজশিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই কায়দায় মোটা অঙ্কের অর্থ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, ১০ জনের একটি গ্যাং এই ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে জানতে পারে, ব্রেভ ডেঞ্জার ট্রং কিং (বিডিএসকে) গ্রুপের প্রধান হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনে। গ্রেফতার জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বিডিএসকে গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তাদের গ্রুপে প্রায় ২৫ সদস্য রয়েছে। গ্যাং লিডার হিটার হৃদয়ের নেতৃত্বে গত তিন বছর পূর্বে গ্যাংটি গঠন করা হয়। গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা, টপ টেন ও ভাই বন্ধু গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল দাবি করে কমান্ডার মঈন বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসীকার্যক্রম পরিচালনা করত।