Naya Diganta

এবার রুপনাদের আরেক চ্যালেঞ্জ


সাবিনা খাতুনদের প্রথম মহিলা সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। ফাইনাল-সহ পুরো আসরে দারুণ খেলে বাংলাদেশকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রথম গোলটি করেন ছোট শামসুন্নাহার। এবার এই দুই সিনিয়র ফুটবলারের গুরু দায়িত্ব অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও দেশবাসীকে খুশির সংবাদ শোনানো। ৩-৯ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই আসর। মহিলা সাফের সব প্রথম আসরেই ট্রফি গেছে বাংলাদেশের দখলে। এবার কি সেই ধারা অব্যহত রাখতে পারবে গোলাম রাব্বানী ছোটন বাহিনী। আসরের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ভারত, নেপাল ও ভুটান। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এই আসরে খেলছে না। আগেই তারা না সূচক জবাব দেয়। এখন অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে ফিফা নিষিদ্ধ করেছে ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে।


সাফ জয়ী বাংলাদেশ দলের ছয় সদস্য আছেন এবারের অনূর্ধ্ব-২০ দলে। রুপনা ও ছোট শামসুন্নাহার ছাড়া বাকিরা হলেন গোলরক্ষক ইতি রানী , সাথী বিশ্বাস ও মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসকু। আর প্রথমবারের মতো কোনো ধরনের জাতীয় দলে ডাক পেলেন আফরোজা খাতুন ও আইরিন খাতুন। দলের নেতৃত্বে শামসুন্নাহার। সহকারী ক্যাপ্টেন রুপনা। বয়সভিত্তিক সাফে এটাই রুপনার শেষ আসর। তিনি চাইছেন অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৮, অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের মতো এই প্রথম আসরেও নিজের শেষটা ট্রফি জিতে শেষ করতে। আর অধিনায়ক হিসেবে এখনো ট্রফির মুখ না দেখা শামসুন্নাহারেরও চ্যালেঞ্জ এবার শিরোপায় হাত ছোঁয়া। চার দলের সিঙ্গেল লিগ শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল ৯ তারিখে ফাইনাল খেলবে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়।


কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের মতে, ‘সাফের সব বয়সভিত্তিক আসরেই আমরা ফাইনালে খেলেছি। কোনো ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরেছি। কোনোটা ৯০ মিনিটের ম্যাচে। আবার জিতে শিরোপাও পেয়েছি। তাই এবারো আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে। আমরা প্রতিদ্বিন্দ্বতাপূর্ণ ম্যাচই উপহার দেবো।’ তিনি যোগ করেন, এখানে নেপাল ও ভারত আমাদের মূল প্রতিপক্ষ। গত বছর জামশেদপুরে আমরা অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপাল ও ভারতীয় দলের যে ফুটবলারদের পেয়েছিলাম এবারো তারা থাকবে।
অনূর্ধ্ব-২০ বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড লাইন খুবই শক্তিশালী। ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা শাহেদা আক্তার রিপা আছেন। রয়েছেন এবারের মহিলা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া আকলিমা খাতুন। এদের সাথে যোগ হবেন ছোট শামসুন্নাহার, উন্নতি খাতুন ও মাহফুজা-হালিমারা। কোচ এই ফরোয়ার্ড লাইনকেই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করলেন।


আসরের প্রথম ম্যাচ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তাই ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েই শুরু করতে চায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট। ছোটন জানালেন, ‘প্রথম ম্যাচে জিততে পারলে ফাইনালের পথে বেশ এগিয়ে যাওয়া যায়।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সর্বশেষ তিন বয়সভিত্তিক সাফের দু’টিতেই নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি।