Naya Diganta

ইবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি টাকা আদায়

অভিযুক্ত শাহ মো: মিজানুর রহমান।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে আসলে এ বাড়তি টাকা নেয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ মো: মিজানুর রহমান ওই হলের সহকারী রেজিস্ট্রার বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম মেধাতালিকা পর্যন্ত প্রাথমিক ভর্তি সম্পন্নকারীদের চুড়ান্ত ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় ২৯ জানুয়ারি (রোববার)। চূড়ান্ত ভর্তির সময়ে হল ফি প্রদানপূর্বক ভর্তি ফরমে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। হল ফি প্রদানপূর্বক জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে গেলে নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়তি ১০০টাকা নেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তিচ্ছুদের সাথে নিয়ে গেলে তাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়নি বলে জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। অন্তত ১০ জন নবীন শিক্ষার্থীর কাছে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলে বিষয়টি স্বীকার করেন। হলের বেতনহীন কর্মচারী শোভনকে দেয়ার জন্য তা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে এ বিষয়ে শোভনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আদায়কৃত টাকার অর্ধেক আমাকে দেয় আর অর্ধেক তিনিই (অভিযুক্ত কর্মকর্তা) রেখে দেন।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হতে আসা ভূক্তভোগী ইমতিয়াজ জানান, হলের কাগজপত্র জমা দিতে গেলে হলের বেতনহীন কর্মচারীর নামে হলের রেজিস্ট্রার বাড়তি ১০০টাকা গ্রহণ করেন। এ সময় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছেও টাকা নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল অফিসে তালা দেন। এ সময় ভেতরে আটকে পড়েন কর্মকর্তারা। পরে বিকেল ৩টার দিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেন তারা।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীর কাছে বাড়তি টাকা নিয়েছে। এটা মারাত্মক অন্যায় করা হয়েছে। আগামীকাল আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।