Naya Diganta

মুমিনের জন্য লজ্জা যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

মুমিনের জন্য লজ্জা যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

লজ্জা মানুষের নৈতিক গুণাবলির একটি। এর বিপরীত প্রতিশব্দ লজ্জাহীনতা। লজ্জা মানুষকে নিরাপত্তা দেয় এবং অপমানের হাত থেকে রক্ষা করে। লজ্জার কারণে মানুষ অপকর্ম থেকে বিরত থাকে। কোনো কোনো সময় আল্লাহভীতির চেয়েও লজ্জা ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে। কারণ অনেক মানুষ আছে, যারা লোকচক্ষুর ভয়ে অশ্লীলতা পরিহার করে। মানুষ যখন লজ্জা পরিহার করে লজ্জাহীন হয় এবং বেহায়াপনা ধারণ করে, তখন থেকে তাদের সার্বিক অধঃপতন শুরু হয়। ফলে তারা কলুষিত করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে। কারণ, যার লজ্জা নেই, তার চরিত্র ঠিক রাখা মুশকিল। সে যা ইচ্ছা করতে পারে।

লজ্জা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। মহানবী সা: বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মের উত্তম চরিত্র রয়েছে, আর ইসলামের উত্তম চরিত্র হলো লজ্জা।’ (ইবন মাজাহ)। ‘আমরা যে ইমান আন্তরিকভাবে লালন করি, তা অনেক শাখার সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্যে অন্যতম হলো লজ্জা।’ মহানবী সা: বলেন, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ।’ (নাসায়ি)

লজ্জা ও ইমানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক হওয়ায় উভয়টি ব্যক্তির মধ্যে একত্রে পাওয়া যায়। একটি না থাকলে অন্যটি থাকে না। মহানবী সা: বলেন, ‘লজ্জা ও ইমান একটি অন্যটির পরিপূরক। যখন একটি বিলুপ্ত হবে তখন অন্যটি এমনিতেই চলে যাবে।’

লজ্জাশীলতা কেবল ইসলামেরই নিদর্শন নয় বরং পূর্ববর্তী সব ধর্মের সারাংশ। যারা লজ্জা করেন, তারা অন্যের কাছেও সম্মান লাভ করেন। মহানবী সা: বলেন, ‘আগের যুগের নবীদের অবশিষ্ট কথা, যা পরের যুগের জাতিগুলো পেয়েছে তা হলো, যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন তুমি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারো।’ (বুখারি) সুতরাং নৈতিকতাসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে লজ্জার বিকল্প নেই।